নেপালে ২ বছর বয়সী আরিয়াতারা শাক্য নতুন কুমারী দেবী: প্রাচীন ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবন

নেপালে ২ বছর বয়সী আরিয়াতারা শাক্য নতুন কুমারী দেবী: প্রাচীন ঐতিহ্যের পুনরুজ্জীবন

নেপালে দশাই উৎসব চলাকালীন ২ বছর ৮ মাস বয়সী আরিয়াতারা শাক্যকে নতুন কুমারী দেবী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তলেজু ভবানী মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসানো আরিয়াতারার পূজা হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মেই করা হয়। এই প্রাচীন ঐতিহ্যটি ৫০০-৬০০ বছরের পুরোনো এবং এটি দেশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

কুমারী দেবী নির্বাচন ২০২৫: নেপালে মঙ্গলবার দশাই উৎসব উপলক্ষে ২ বছর ৮ মাস বয়সী আরিয়াতারা শাক্যকে নতুন কুমারী দেবী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই উপলক্ষে তাকে কাঠমান্ডুর তলেজু ভবানী মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসানো হয় এবং কাঠমান্ডুর রাস্তায় ভক্তরা ফুল দিয়ে আশীর্বাদ জানান। নতুন কুমারী দেবী হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মেই পূজনীয় এবং দেশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য তার পূজা করা হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তার সাহস, ধৈর্য এবং ৩২টি শারীরিক গুণের পরীক্ষা করা হয়েছিল।

নতুন কুমারী দেবীর নির্বাচন ও জনসমক্ষে বরণ

নেপালে মঙ্গলবার দশাই উৎসব উপলক্ষে ২ বছর ৮ মাস বয়সী আরিয়াতারা শাক্যকে নতুন কুমারী দেবী ঘোষণা করা হয়েছে। তলেজু ভবানী মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে বসানো আরিয়াতারা শাক্যকে কাঠমান্ডুর রাস্তায় শোভাযাত্রায় ভক্তরা ফুল দিয়ে আশীর্বাদ জানান। বৃহস্পতিবার তিনি নেপালের রাষ্ট্রপতি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও তার আশীর্বাদ দেবেন।

নতুন কুমারী দেবীর নির্বাচন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয় ধর্মেই তাঁর পূজা করা হয়। এই ঐতিহ্য নেপালে ৫০০-৬০০ বছরের পুরোনো এবং এটি দেশে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

কুমারী দেবীর নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বিশ্বাস

কুমারী দেবীর নির্বাচন কেবল ২ থেকে ৪ বছর বয়সী শাক্য কন্যাদের মধ্য থেকে করা হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অন্ধকারের কক্ষ, মহিষের মাথা এবং ভীতিকর মুখোশের মাধ্যমে কন্যার সাহস ও ধৈর্যের পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও ত্বক, চুল, চোখ এবং দাঁতের গুণগত মান সহ ৩২টি শারীরিক গুণেরও পরীক্ষা করা হয়।

এই কঠোর প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হল কুমারী দেবী যেন সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হন, তা নিশ্চিত করা। এটি ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

জীবন, ঐতিহ্য এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম

কুমারী দেবীর জীবন বিশেষভাবে সুরক্ষিত ও সুপরিকল্পিত হয়। তাকে লাল পোশাক পরতে, চুলে বেণী বাঁধতে এবং কপালে তৃতীয় চোখের চিহ্ন আঁকার ঐতিহ্য মেনে চলতে হয়। তার দৈনন্দিন জীবন সীমিত থাকে, খুব কম সহপাঠী থাকে এবং বছরে কেবল নির্বাচিত কিছু উৎসবে বাইরে যাওয়ার সুযোগ মেলে।

এই সময়ে আরিয়াতারা শাক্যকে পূজা ও দর্শন করার জন্য ভক্তরা তলেজু ভবানী মন্দিরে আসেন। নেপালে এই ঐতিহ্যটি মানুষের মধ্যে বিশ্বাস এবং সামাজিক পরিচয়ের প্রতীক হয়ে আছে।

সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব

কুমারী দেবীকে দেবী তলেজুর মানব রূপ বলে মনে করা হয়। তাঁর উপস্থিতি ও আশীর্বাদে নেপালে শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বজায় থাকে। এই ঐতিহ্য মল্ল রাজাদের শাসনকাল থেকে চলে আসছে এবং বর্তমানে নেপালের রাষ্ট্রপতিও এই জীবন্ত দেবীর কাছ থেকে আশীর্বাদ নিতে আসেন।

আরিয়াতারার বাবা, অনন্ত শাক্য বলেছেন যে তিনি গর্বিত যে তার মেয়ে এখন দেবী হয়েছেন। তবে, পুরনো কুমারী দেবীদের জন্য সাধারণ জীবনে মানিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সরকার এখন পুরনো কুমারী দেবীদের জন্য মাসিক ভাতা এবং শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।

Leave a comment