উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রায় ৫০ দিন পর জগদীপ ধনখড় তাঁর নীরবতা ভাঙলেন এবং তাঁর উত্তরসূরী সি.পি. রাধাকৃষ্ণণকে অভিনন্দন জানালেন। এনডিএ-এর প্রার্থী রাধাকৃষ্ণণ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'-এর প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডিকে পরাজিত করেছিলেন।
নয়াদিল্লি: ভারতের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রায় ৫০ দিন পর তাঁর নীরবতা ভাঙলেন। তিনি তাঁর উত্তরসূরী এবং এনডিএ প্রার্থী সি.পি. রাধাকৃষ্ণণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাধাকৃষ্ণণ সম্প্রতি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'-এর প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডিকে পরাজিত করে এই পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
ধনখড়ের ইস্তফার পর তড়িঘড়ি আয়োজিত উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাধাকৃষ্ণণের জয়ের পর এটিই তাঁর প্রথম জনসাধারণের উদ্দেশ্যে করা মন্তব্য।
জগদীপ ধনখড় কী বলেছেন?
ধনখড় তাঁর চিঠিতে লিখেছেন যে সি.পি. রাধাকৃষ্ণণের নির্বাচন উপরাষ্ট্রপতি পদে তাঁর বিপুল অভিজ্ঞতা এবং জনজীবনে তাঁর অবদানকে তুলে ধরে। তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং মানবজাতির এক ষষ্ঠাংশের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ভারত, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনার নির্বাচনে আন্তরিক অভিনন্দন।
ধনখড় আরও লিখেছেন, এই মর্যাদাপূর্ণ পদে আপনার পদোন্নতি আমাদের জাতির প্রতিনিধিদের বিশ্বাস এবং আস্থাকে প্রতিফলিত করে। জনজীবনে আপনার বিপুল অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে, আপনার নেতৃত্বে এই পদ নিঃসন্দেহে আরও সম্মান ও গৌরব লাভ করবে। এই চিঠিটি ২১শে জুলাই সংসদীয় বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে ইস্তফা দেওয়ার পর ধনখড়ের প্রথম জনসাধারণের উদ্দেশ্যে করা মন্তব্য।
ইস্তফার কারণ স্বাস্থ্য
জগদীপ ধনখড় ২১শে জুলাই আকস্মিকভাবে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়েছিলেন। তাঁর ইস্তফা রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বিরোধী দলগুলি তাঁর আকস্মিক ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা করে। তাঁর ইস্তফার পরেই নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সি.পি. রাধাকৃষ্ণণের জয় এই নির্বাচনকে তাৎপর্যপূর্ণ এবং সংবেদনশীল করে তোলে।
ধনখড়ের ইস্তফার পর তাঁর অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে জল্পনা-কল্পনার ঝড় চলে। বিরোধী দলগুলি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তাঁর ইস্তফার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে। তাঁর নীরবতা রাজনৈতিক পরিবেশে অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছিল, কিন্তু এখন রাধাকৃষ্ণণকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি তাঁর দায়িত্ব এবং সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করেছেন।