পূর্ণিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী: বিমানবন্দর উদ্বোধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন

পূর্ণিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী: বিমানবন্দর উদ্বোধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ণিয়া সফরে আসবেন। তিনি বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন এবং বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন। বিজেপি এটিকে ঐতিহাসিক বলে মনে করছে। এক বিশাল জনসভায় জনগণের কাছে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

PM Modi Bihar Visit: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ সেপ্টেম্বর বিহারের পূর্ণিয়া জেলা সফর করবেন। এই সময়ে তিনি পূর্ণিয়া বিমানবন্দর উদ্বোধন করবেন এবং জনগণের জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এটিকে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে দেখছে এবং কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়ালের বড় মন্তব্য

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল পূর্ণিয়া সফর প্রসঙ্গে বলেছেন যে একটি উন্নত বিহার গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ছাতাপুরে কর্মীদের উদ্দেশে বলেন যে বিজেপি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আদর্শ এবং পরিবার। আমাদের কাছে দেশ প্রথমে, তারপর দল এবং সবশেষে ব্যক্তিগত জীবন।

জয়সওয়াল আরও বলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর উন্নয়ন যাত্রাকে নতুন দিকনির্দেশনা দেবে। এই উপলক্ষে তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন ও উদ্বোধন করবেন।

পূর্ণিয়া বিমানবন্দর উদ্বোধন হবে

প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হবে পূর্ণিয়া বিমানবন্দর উদ্বোধন। দীর্ঘ সময় ধরে এখানকার মানুষের একটিই দাবি ছিল যে বিমান যোগাযোগ বাড়ানো হোক, যাতে এই অঞ্চলের ব্যবসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত হয়। এখন সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।

বিজেপি নেতাদের মতে, বিমানবন্দর চালু হলে কেবল বিহার নয়, সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত উপকৃত হবে। কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়বে এবং পর্যটনও বৃদ্ধি পাবে।

জিরো মাইল-এ বিশাল জনসভা

প্রধানমন্ত্রী মোদী ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ণিয়ার জিরো মাইল-এর কাছে গুলাববাগ শীশাবাড়ি এসএসবি ময়দানে এক বিশাল সম্মেলনেও ভাষণ দেবেন। এই অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিজেপি জনসভার প্রস্তুতি জোরদার করেছে এবং দলীয় কর্মীদের জনগণের কাছে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্র ও রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে মনোযোগ

বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন যে বিহারে সড়ক, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে। মেডিকেল কলেজ স্থাপন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

  • তিনি জানান যে মহিলা ও যুবকদের জন্য অনেক নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
  • মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের পরিধি বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
  • প্রতি মাসে ১২৫ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়ার প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
  • জীবিকা দিদিদের অ্যাকাউন্টে স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য ১০ হাজার টাকা পাঠানো হচ্ছে।
  • নারী ক্ষমতায়ন এবং যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য ১০০% ডোমিসাইল নীতি চালু করা হয়েছে।

জয়সওয়াল বলেন যে বিহারের উন্নয়ন এখন দ্রুত গতি পেয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী এটিকে আরও গতি দেওয়ার জন্য পূর্ণিয়া আসছেন।

বিহারের উন্নয়ন মডেল নিয়ে আলোচনা

বিজেপি নেতাদের মতে, কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রকল্পগুলি বিহারের গ্রামগুলিতে উন্নয়নের এক নতুন পরিবেশ তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর "বিকশিত ভারত"-এর লক্ষ্যে বিহারও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। তিনি ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে বলেন যে আমরা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে এগোচ্ছি এবং এতে বিহারের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হবে।

বিজেপি কর্মীদের জন্য বার্তা

দিলীপ জয়সওয়াল বৈঠকে কর্মীদের দলীয় রণনীতি সম্পর্কে অবগত করেন। তিনি বলেন যে আপনারা সবাই আমাদের দলের মূল্যবান কর্মী এবং বিধানসভা নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনি কর্মীদের বলেন যে তারা ঘরে ঘরে গিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি জনগণের কাছে পৌঁছে দিন। বিজেপির মূল মন্ত্র হল "দেশ প্রথমে", এবং এই আদর্শ নিয়েই আমাদের জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ

এই স্বল্পকালীন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি নরেন্দ্র কুমার ঋষি। বৈঠকে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নেতা উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে নগর পরিষদ মুখ্য पार्षद রাঘবেন্দ্র ঝা রাঘব, শালগ্রাম পান্ডে, अनुरঞ্জন ঝা, দিলীপ কুমার সিং, প্রদীপ সিং মুন্না, সুশীল প্রসাদ কর্ণ, পবন কুমার হাজারী, प्रवीण কুমার ঝা, কুুনাল ঠাকুর, গিরিশচন্দ্র ঠাকুর এবং বৈজনাথ ভগত অন্যতম।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর কেন গুরুত্বপূর্ণ

প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর বিভিন্ন দিক থেকে বিশেষ। প্রথমত, পূর্ণিয়া বিমানবন্দর উদ্বোধনের ফলে সমগ্র অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। দ্বিতীয়ত, হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন ও উদ্বোধন হবে, যা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটাবে। তৃতীয়ত, বিজেপি এই সফরকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেও যুক্ত করে দেখছে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।

Leave a comment