নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে নিজেদের নামে করেছে। ওয়েলিংটন রিজিয়োনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্লেয়ার টিকনার এবং জ্যাকারিয়া ফকসের দুর্দান্ত জুটি স্বাগতিক দলকে রোমাঞ্চকর ২ উইকেটের জয় এনে দিয়েছে।
খেলাধুলা সংবাদ: ওয়েলিংটন রিজিয়োনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে পরাজিত করে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপ করেছে। মিচেল স্যান্টনারের নেতৃত্বে খেলা নিউজিল্যান্ড দল এর আগেই দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল, যখন ইংল্যান্ড এই ম্যাচে সম্মান রক্ষার লড়াইও হেরেছে।
প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড দল ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়, যার জবাবে নিউজিল্যান্ড ৪৫তম ওভারে লক্ষ্য অর্জন করে জয় লাভ করে। এই জয়ের সাথে নিউজিল্যান্ড শুধু সিরিজই নিজেদের নামে করেনি, বরং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের ঘরের মাঠে আধিপত্যও বজায় রেখেছে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে মিচেল স্যান্টনারের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দল সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ (Whitewash) করেছে।
তৃতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের হার

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৪৫তম ওভার পর্যন্ত লড়াই করে এবং নিউজিল্যান্ডের সামনে ২২৩ রানের লক্ষ্য রাখে। দলের হয়ে লোয়ার-অর্ডারের ব্যাটসম্যান জেমি ওভারটন সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন, যেখানে টপ-অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা আবারও ব্যর্থ হন। ইংল্যান্ডের প্রথম ৫ জন ব্যাটসম্যানের মোট রান ছিল মাত্র ৩২, যা দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্লেয়ার টিকনার দুর্দান্ত বোলিং করে ১০ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন এবং ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন। তাঁর পাশাপাশি জ্যাকব ডাফি ৩টি এবং জ্যাকারিয়া ফকস ২টি উইকেট শিকার করেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের রোমাঞ্চকর জয়
২২৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র প্রথম উইকেটে ৭৮ রানের শক্তিশালী জুটি গড়েন। রবীন্দ্র দ্রুত ৪১ রান করেন, অন্যদিকে কনওয়ে ৩৯ রান অবদান রাখেন। তবে মিডল-অর্ডারে দল হোঁচট খায় —
- উইল ইয়াং (১),
- টম ল্যাথাম (১০)
- মাইকেল ব্রেসওয়েল (১৩) সস্তায় আউট হয়ে যান।

এরপর ড্যারিল মিচেল (৪৪) এবং অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার (২৭) ইনিংসকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু যখন ১৯৬ রানে মিচেল আউট হন, তখন নিউজিল্যান্ডের ওপর সংকট ঘনীভূত হতে শুরু করে — দলের জয়ের জন্য তখনও ২৭ রান প্রয়োজন ছিল এবং মাত্র ২ উইকেট বাকি ছিল। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ব্লেয়ার টিকনার (১৮)* এবং জ্যাকারিয়া ফকস (১৪)* শান্তভাবে ম্যাচটি শেষ করেন। তারা দু'জন মিলে অপরাজিত জুটি গড়ে ৪৫তম ওভারে নিউজিল্যান্ডকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন এবং দলকে ২ উইকেটে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন।
পুরো সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ড্যারিল মিচেলকে ‘প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ’ নির্বাচিত করা হয়। তিনি প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ৭৮ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ৫৬ রান, এবং তৃতীয় ওয়ানডেতে ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তাঁর ধারাবাহিকতা এবং মিডল-অর্ডারে দৃঢ়তা নিউজিল্যান্ডের জয়ের একটি বড় চাবিকাঠি প্রমাণিত হয়েছে।











