নয়ডার লিফটে বিষাক্ত কোবরা: আতঙ্ক গোল্ডেন পাম সোসাইটিতে

নয়ডার লিফটে বিষাক্ত কোবরা: আতঙ্ক গোল্ডেন পাম সোসাইটিতে

নয়ডার গোল্ডেন পাম সোসাইটির লিফটে কোবরা সাপ বের হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সময়মতো রক্ষণাবেক্ষণ দল সাপটিকে নিরাপদে ধরে জলাভূমিতে ছেড়ে দেয়। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

নয়ডা: সেক্টর-168-এ অবস্থিত গোল্ডেন পাম সোসাইটিতে তখন তীব্র বিশৃঙ্খলা দেখা যায়, যখন একটি বিষাক্ত কোবরা সাপ হঠাৎ লিফটের ভিতরে আবির্ভূত হয়। ঘটনার ভিডিও দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। তবে স্বস্তির বিষয় এই যে, সাপটিকে নিরাপদে ধরে জলাভূমিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সোসাইটির লিফটে কোবরা

নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে থানা এলাকার অন্তর্গত গোল্ডেন পাম সোসাইটির একটি লিফটে রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ একটি সাপ বেরিয়ে আসে। লিফটের ভিতরে থাকা লোকেরা আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে এসে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোসাইটির বাসিন্দাদের লাঠি ও ছড়ির সাহায্যে সাপটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়।

ভিডিওটি সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, এত সুরক্ষিত বলে বিবেচিত হাইরাইজ সোসাইটির লিফটে সাপটি কীভাবে পৌঁছাল।

রক্ষণাবেক্ষণ দল সাপটিকে উদ্ধার করে 

সোসাইটির বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই রক্ষণাবেক্ষণ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দলটি একটি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে কোবরাটিকে নিরাপদে ধরে জলাভূমিতে ছেড়ে দেয়। দল অনুসারে, এই সাপটি কোবরা প্রজাতির ছিল, যা অত্যন্ত বিষাক্ত হয়। ভাগ্যক্রমে, কেউ আহত হয়নি এবং ঘটনাটি শান্তিপূর্ণভাবে মিটিয়ে নেওয়া হয়।

এই পুরো ঘটনাটি সোসাইটির বাসিন্দাদের অবশ্যই ভয় পাইয়ে দিয়েছে, তবে স্বস্তির বিষয় ছিল যে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপে কারো জীবন বিপন্ন হয়নি। বর্তমানে সোসাইটিতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

কতটা বিপজ্জনক কোবরা

কোবরা বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপগুলোর মধ্যে গণ্য করা হয়। এর বিষ নিউরোটক্সিন প্রকৃতির, যা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে মানুষকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। এর কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির তীব্র ব্যথা, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

ভারতে পাওয়া ইন্ডিয়ান কোবরার বিষ বিশেষভাবে মারাত্মক বলে বিবেচিত হয়। তবে, সময়মতো অ্যান্টি-ভেনম এবং চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া গেলে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন ক্ষেত্রে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি।

Leave a comment