অনলাইন প্রতারণার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি: সুরক্ষার জরুরি উপায়

অনলাইন প্রতারণার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি: সুরক্ষার জরুরি উপায়

দেশে অনলাইন প্রতারণা দ্রুত বাড়ছে। জানুয়ারি-এপ্রিল ২০২৪-এর মধ্যে ২০,০৪৩টি ট্রেডিং স্ক্যাম এবং ৬২,৬৮৭টি ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যাম নথিভুক্ত হয়েছে, যেখানে মোট ১৬,৪২৯ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা হয়েছে। স্ক্যামাররা ভুয়া ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, লোন অ্যাপ, গেমিং এবং ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে মানুষের আবেগ ও মনস্তত্ত্বের সুবিধা নেয়। অনলাইন প্রতারণা থেকে বাঁচার প্রধান উপায় হলো সচেতনতা ও সতর্কতা।

Online Fraud Protection: দেশে অনলাইন প্রতারণা দ্রুত বাড়ছে এবং এটি কেবল টাকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (I4C) অনুসারে, জানুয়ারি-এপ্রিল ২০২৪-এর মধ্যে ২০,০৪৩টি ট্রেডিং স্ক্যাম এবং ৬২,৬৮৭টি ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যাম নথিভুক্ত হয়েছে। ভুয়া ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, লোন অ্যাপ, গেমিং এবং ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যামাররা মানুষের আবেগ ও বিশ্বাসের সুযোগ নেয়। পুরুষরা সাধারণত ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যামে ফেঁসে যায় এবং মহিলারা রোম্যান্স স্ক্যামের শিকার হন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, কোনো অফার বা কলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে, যাচাই করে এবং সতর্ক থাকা নিরাপদ ডিজিটাল লেনদেনের চাবিকাঠি।

অনলাইন প্রতারণার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি

দেশে অনলাইন প্রতারণা দ্রুত বাড়ছে। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (I4C) অনুসারে, জানুয়ারি-এপ্রিল ২০২৪-এর মধ্যে ২০,০৪৩টি ট্রেডিং স্ক্যাম নথিভুক্ত হয়েছে, যেখানে প্রায় ১৪,২০৪ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। অন্যদিকে, ৬২,৬৮৭টি ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যাম থেকে ২,২২৫ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুয়া ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম, লোন অ্যাপ, গেমিং এবং ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে।

স্ক্যামাররা কেবল টাকা নেয় না, বরং মানুষের চিন্তাভাবনা এবং আবেগকেও নিজেদের পক্ষে ঘুরিয়ে দেয়। পুলিশ অফিসার এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও কখনও কখনও এই চালাক ঠগদের শিকার হন। ঠগদের উদ্দেশ্য আপনার মানব মনস্তত্ত্ব (Human Psychology)-এর সুযোগ নেওয়া।

ঠগদের মনস্তাত্ত্বিক কৌশল

অনলাইন ঠগরা বিভিন্ন ধরনের অফার দেয়, যা আপনার প্রয়োজন এবং ইচ্ছার সঙ্গে মেলে। রোম্যান্স স্ক্যামে ভালোবাসা, ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যামে টাকা এবং জব স্ক্যামে চাকরির লোভ দেখানো হয়। ঠগরা নিজেদেরকে CBI, RBI, NIA বা ED-এর মতো বড় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে।

কখনও ভুয়া NGO বা ত্রাণ অভিযান দেখিয়ে চ্যারিটি ডোনেশনের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, কখনও VPN-এর নামে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করানো, আবার কখনও মানি মিউল স্কিমের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার করানো – এগুলো সবচেয়ে বিপজ্জনক পদ্ধতি। স্ক্যামাররা "সীমিত সময়ের অফার" বা "মাত্র কয়েকটি স্লট বাকি আছে" -এর মতো বার্তা দিয়ে মানুষকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।

কীভাবে অনলাইন প্রতারণা থেকে বাঁচবেন

অস্ট্রেলিয়ায় চালানো Stop. Check. Protect অভিযানের মতে, কোনো অফার বা কলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন না। প্রথমে থামুন, যাচাই করুন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিন। নিজেকে তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন: এর আসল উদ্দেশ্য কী? এতে কার লাভ হবে? আমার কি ভেবেচিন্তে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আছে?

পুরুষরা সাধারণত ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যামের শিকার হন, অন্যদিকে মহিলারা রোম্যান্স স্ক্যামে ফেঁসে যান। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস মানুষকে ঝুঁকি নিতে বাধ্য করে এবং ছোট ছোট ইঙ্গিত উপেক্ষা করতে প্ররোচিত করে।

Leave a comment