পাকিস্তান এয়ারপোর্টস অথরিটি (PAA) আবারও তাদের আকাশসীমায় ভারতীয় বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। পাকিস্তান স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে এই নিষেধাজ্ঞা এখন ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বহাল থাকবে।
PAA: পাকিস্তান আবারও ভারতীয় বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাটি ২০২৫ সালের ২৪শে আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পাকিস্তান এয়ারপোর্টস অথরিটি (PAA) এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনে, ভারতীয় মালিকানাধীন, পরিচালিত বা লিজ নেওয়া সমস্ত বেসামরিক ও সামরিক বিমানকে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না।
১৮ই জুলাই থেকে নতুন নোটিশ জারি
পাকিস্তান এয়ারপোর্ট অথরিটি কর্তৃক ২০২৫ সালের ১৮ই জুলাই, শুক্রবার জারি করা নোটাম (Notice to Airmen) অনুসারে, এই নিষেধাজ্ঞা দুপুর ৩:৫০ থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞাটি ২০২৫ সালের ২৪শে আগস্ট সকাল ৫:১৯ পর্যন্ত বহাল থাকবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এর আগেও পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে একই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, যা এখন আরও বাড়ানো হয়েছে।
কেবল পাকিস্তানই নয়, ভারতও তাদের আকাশসীমায় পাকিস্তানি বিমানের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ভারত এই নিষেধাজ্ঞা ২০২৫ সালের ২৪শে জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞাটি ২০২৫ সালের ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরে জারি করা হয়েছিল, যাতে ২৬ জন নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায়, ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই একে অপরের বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
আকাশসীমা বন্ধের কারণে বেড়েছে উত্তেজনা
২২শে এপ্রিলের হামলার পরে, পাকিস্তান ২৪শে এপ্রিল ভারতীয় বিমানের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল। এর কয়েক দিন পরেই, ৩০শে এপ্রিল ভারতও পাকিস্তানের বিমানের উপর একই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তখন থেকে উভয় দেশের আকাশপথ একে অপরের জন্য বন্ধ। এই পরিস্থিতি উভয় দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ও খারাপ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।
এই পুরো ঘটনার পেছনে ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’ও একটি বড় কারণ। ২২শে এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৬-৭ মে রাতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে। এর জবাবে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেগুলি ব্যর্থ করে দিয়েছে। তখন থেকে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমেনি।