গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা শীত—সব ঋতুতেই ডাবের জল শরীরকে রাখে হাইড্রেটেড ও সতেজ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খালি পেটে ডাবের জল খেলে মেলে কয়েকগুণ উপকার। কারণ, সকালবেলা শরীর সবচেয়ে বেশি টক্সিন ফ্রি থাকে। এই সময় শরীরের প্রাকৃতিক শোষণক্ষমতা চরমে থাকে, ফলে ডাবের জলের পুষ্টিগুণ শরীর দ্রুত গ্রহণ করতে পারে।
কিডনির মঙ্গলেই ডাব! খালি পেটে খেলে বাড়ে শুদ্ধি, শক্তি ও সচলতা
সকালবেলা খালি পেটে ডাবের জল খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুফল হল কিডনির উপর এর ইতিবাচক প্রভাব। ডাবের জলে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। খালি পেটে ম্যাগনেশিয়াম শরীরের কোষে দ্রুত প্রবেশ করে এবং কিডনিকে চাঙ্গা রাখে। ফলত, সারাদিন শক্তি বজায় থাকে, হজমশক্তিও মজবুত হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে ‘ন্যাচারাল টুল’ ডাবের জল, সকালবেলায় খেলে হয় ম্যাজিক
ওজন কমাতে চান? তাহলে প্রতিদিন সকালবেলা এক গ্লাস ডাবের জল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে উপস্থিত ট্রাইগ্লিসারাইড শরীরে শক্তি তৈরি করে কিন্তু চর্বি হিসেবে জমতে দেয় না। উপরন্তু, ডাবের জলে থাকা প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট পেট ভরিয়ে রাখে দীর্ঘক্ষণ। ফলে খিদে কমে যায়, অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। নিয়মিত খালি পেটে ডাবের জল খেলে ধীরে ধীরে ওজনও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
ত্বকে জেল্লা আনতে ডাবের জলই যথেষ্ট, বার্ধক্য রুখতে সাহায্য করে প্রাকৃতিক হরমোন
ডাবের জলে রয়েছে ‘সাইটোকাইনিন’ নামে এক প্রাকৃতিক হরমোন যা বার্ধক্য রোধে কার্যকরী। খালি পেটে ডাবের জল খেলে এই হরমোন কোষকে দীর্ঘদিন সতেজ রাখে। কোলাজেন উৎপাদনের ভারসাম্য বজায় থাকে, ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও উজ্জ্বল, আর্দ্র এবং টানটান। সকালে এক গ্লাস ডাবের জল নিয়মিত পান করলে ত্বকের বয়স কম দেখায় এবং মুখে আস্তে আস্তে আসে স্বাস্থ্যকর দীপ্তি।
সতর্কতা অবলম্বন জরুরি, অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যদিও ডাবের জল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তবুও অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে বা শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাঁদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। খালি পেটে এক গ্লাসের বেশি নয়—এই নিয়ম মেনে চললেই ডাবের জল হতে পারে ‘প্রাকৃতিক ওষুধ’।
সংক্ষেপে উপকারিতা
হজমশক্তি বাড়ায়
কিডনি পরিষ্কার করে
শরীর হাইড্রেটেড রাখে
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখে
বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়ক