পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জঙ্গিদের জানাজায় অংশ নিত: জইশ কমান্ডার ইলিয়াস কাশ্মিরির চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জঙ্গিদের জানাজায় অংশ নিত: জইশ কমান্ডার ইলিয়াস কাশ্মিরির চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

জইশ কমান্ডার ইলিয়াস কাশ্মীরি বলেছেন যে অপারেশন সিন্ধুরে নিহত জঙ্গিদের জানাজায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশ সরাসরি সেনাবাহিনীর প্রধান দিয়েছিলেন। সন্ত্রাসবাদ লুকানোর পাকিস্তানের দাবি ফাঁস হয়ে গেছে।

নতুন দিল্লি: পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের সামনে এই দাবি করে আসছে যে তাদের মাটিতে জঙ্গিদের কোনো আস্তানা নেই। কিন্তু এখন জইশ-ই-মোহাম্মদের জঙ্গি কমান্ডার ইলিয়াস কাশ্মীরি নিজেই বড় এক তথ্য ফাঁস করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সরাসরি নির্দেশ দিয়ে জঙ্গিদের জানাজায় তাদের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছিল। এই তথ্য সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সহায়ক ভূমিকাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচিত করে।

অপারেশন সিন্ধুর এবং জানাজার সত্য

ইলিয়াস কাশ্মীরি বলেছেন যে 'অপারেশন সিন্ধুর'-এ নিহত জঙ্গিদের জানাজায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশ সরাসরি সেনাবাহিনীর প্রধান জিএইচকিউ থেকে জারি করেছিলেন। অর্থাৎ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কেবল জঙ্গিদের আশ্রয়ই দেয় না, তাদের পাশেও দাঁড়ায়।

লস্করের আস্তানা

তথ্য ফাঁস অনুসারে, লস্কর-ই-তৈয়বার মুরীদকে ক্যাম্পে এক জঙ্গির মৃত্যুর পর জানাজায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছিলেন। এই ছবিগুলো আগেই আলোচনায় এসেছিল, কিন্তু এখন ইলিয়াস কাশ্মীরির স্বীকারোক্তি সেগুলোকে সিলমোহর দিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জঙ্গিদের পাশে দাঁড়ায়।

ইলিয়াস কাশ্মীরি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে বাহাওয়ালপুরের জইশ ক্যাম্পে নিহত জঙ্গিদের জানাজায় যোগ দেওয়ার নির্দেশও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান দিয়েছিলেন। এটি সেই এলাকা যেখানে জইশ-ই-মোহাম্মদের বৃহত্তম ক্যাম্প অবস্থিত। এই ক্যাম্পটি ভারতের উপর বড় সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।

ডিজি আইএসপিআর-এর ষড়যন্ত্র

কাশ্মীরি আরও জানিয়েছেন যে ডিজি আইএসপিআর অর্থাৎ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং বাহাওয়ালপুর ক্যাম্প এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের মধ্যে সম্পর্ক লুকানোর চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তানের নীতি এটাই – একদিকে বিশ্বকে মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া এবং অন্যদিকে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া।

মसूদ আজহারের ভূমিকা

ইলিয়াস কাশ্মীরির মতে, ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী মसूদ আজহার দিল্লি এবং মুম্বাইতে হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল। আজহারকে ভারত ৫ বছরের কারাদণ্ডের পর মুক্তি দিয়েছিল এবং সে পাকিস্তানে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে শুরু করে। তার আস্তানা ছিল বকলোতে, যা ২০১৯ সালে ভারত বিমান হামলায় লক্ষ্যবস্তু করেছিল।

পাকিস্তানের দাবি ফাঁস

এই তথ্য ফাঁস পাকিস্তানের সেই মিথ্যা দাবিগুলির পর্দা উন্মোচন করে, যেখানে তারা বারবার বলে এসেছে যে তাদের দেশে সন্ত্রাসী আস্তানা নেই। বাস্তবতা হলো, সেখানে কেবল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিই ফুলেফেঁপে উঠছে না, বরং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকেও তারা সরাসরি সমর্থন পায়।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রভাব

পাকিস্তানের এই সত্যটি আবারও বিশ্বের সামনে এসেছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে বারবার সন্ত্রাসবাদের पोषक দেশ বলা হয়েছে। ইলিয়াস কাশ্মীরির এই স্বীকারোক্তি ভারতকে আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী প্রমাণ দিয়েছে।

Leave a comment