পানিপথে প্রেমঘটিত বিবাদের জেরে যুবক গগনকে তার বন্ধু নীতিন ও অজয় হত্যা করেছে। মৃতের দেহ রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং জিআরপি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে খুনের ষড়যন্ত্র ফাঁস করেছে।
পানিপথ: নেসলে কারখানার কাছে একটি মৃতদেহ পাওয়ার পাঁচ দিন পর জিআরপি অভিযুক্ত বন্ধুদের গ্রেপ্তার করেছে। মৃত গগনের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা থেকে স্পষ্ট হয় যে তার মৃত্যু খুনের কারণে হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্ত নীতিন এবং অজয় এক মাস ধরে খুনের ষড়যন্ত্র করছিল।
জিআরপি ইনচার্জ রাজেশ কুমার জানিয়েছেন যে খুনের ঘটনার দিন গগনকে দেখা করার জন্য ডেকে প্রথমে লোহার হ্যান্ডেল এবং তারপর ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। গগন ঘটনাস্থলেই আহত হয়ে মারা যায়। খুনের পর দেহ রেললাইনে ফেলে দিয়ে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্রেমঘটিত বিবাদে গগনের খুন
গগনের এক বছর আগে তার প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর গগনের বন্ধু নীতিন এবং তার স্ত্রীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসে ফাটল ধরিয়েছিল। গগন এই ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতার বিরোধিতা করেছিল, যার ফলে বিবাদ ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, নীতিন তার বন্ধু অজয়ের সঙ্গে মিলে গগনকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। অভিযুক্তরা গগনকে দেখা করার অজুহাতে ডেকে লোহার হ্যান্ডেল এবং ইট দিয়ে তার উপর হামলা করে। এই হামলায় গগন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
রেললাইনে দেহ ফেলে খুন লুকানোর ষড়যন্ত্র
খুনের পর নীতিন ও অজয় দেহটি রেললাইনে ফেলে দেয়। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা দেখাতে চেয়েছিল যে ঘটনাটি আত্মহত্যা বা রেল দুর্ঘটনার। দেহ উদ্ধারের পর রেল পুলিশের প্রাথমিক শনাক্তকরণে অসুবিধা হয়েছিল।
জিআরপি সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল লোকেশন এবং অন্যান্য সূত্র ধরে অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছায়। বুধবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। খুনে ব্যবহৃত লোহার হ্যান্ডেল এবং পাথরও উদ্ধার করা হয়েছে।
খুন মামলায় স্ত্রীর জড়িত থাকার তদন্ত চলছে
পুলিশ এই মামলায় মৃতের স্ত্রীর ভূমিকাও তদন্ত করছে। কর্মকর্তারা বলছেন যে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে খুনের ষড়যন্ত্রে স্ত্রীর কোনো ভূমিকা ছিল কিনা। গগনের বিয়ের এক বছরও হয়নি এবং এই ঘটনা পরিবারের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
গগনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের আবহ। সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের মাঝে জন্ম নেওয়া জটিল পরিস্থিতি এক যুবকের জীবন কেড়ে নিয়েছে। পুলিশের তদন্ত এখনও চলছে এবং অভিযুক্তদের গভীর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।