পাটনায় বেপরোয়া গাড়ির চাপায় ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া

পাটনায় বেপরোয়া গাড়ির চাপায় ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া

পাটনার বাড়হ থানার অন্তর্গত যমুনীচক গ্রামে সোমবার সন্ধ্যায় একটি নিয়ন্ত্রণহীন থার গাড়ি একটি পরিবারের পাঁচ সদস্যকে পিষে দেয়। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং দুজন শিশু রয়েছে। একজন মহিলা গুরুতরভাবে আহত এবং তাকে পিএমসিএইচে ভর্তি করা হয়েছে।

Patna Road Accident: একটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। বাড়হ থানার অন্তর্গত যমুনীচক গ্রামে সোমবার সন্ধ্যায় ২৫শে আগস্ট ২০২৫ তারিখে একটি নিয়ন্ত্রণহীন থার গাড়ি একটি পরিবারের পাঁচ সদস্যকে পিষে দেয়। এই দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন মহিলা এবং দুজন নিষ্পাপ শিশু রয়েছে। একজন মহিলা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন এবং তাকে চিকিৎসার জন্য পিএমসিএইচে রেফার করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনা এলাকায় ভয় ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটল?

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৭:০০ টার মধ্যে ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে সোরাই পাসওয়ানের স্ত্রী আশা দেবী, সুধীর পাসওয়ানের স্ত্রী সুধা দেবী (৩৫ বছর) এবং দুটি শিশু রয়েছে, যাদের বয়স পাঁচ বছর এবং দুই বছর ছিল। এই দুই শিশু তাদের নানীর বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত জ্যোতি কুমারীকে (২২ বছর) তৎক্ষণাৎ পিএমসিএইচে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, পরিবারটি রাস্তার ধারে শৌচকর্ম করছিল, সেই সময় নিয়ন্ত্রণহীন থার গাড়িটি তাদের পিষে দিয়ে চলে যায়। স্থানীয় লোকেদের বক্তব্য, গাড়ির চালক সম্ভবত মদ্যপ অবস্থায় ছিল এবং ঘটনার পর সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

 দুর্ঘটনায়  গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ 

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর গ্রামের মানুষজন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তা অবরোধ করে এবং অগ্নিসংযোগও করে। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

গ্রামবাসীদের বক্তব্য, যমুনীচক এলাকায় আগে তিনটি স্পীড ব্রেকার ছিল, কিন্তু কিছুদিন আগে সেগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে দ্রুত গতির বড় গাড়িগুলি খুব দ্রুত যাতায়াত করত, যার ফলে এই ভয়ানক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছিল।

পরিবার ও গ্রামের মানুষজন দুর্ঘটনায় শোকাহত 

আহত পরিবারটি পুকার পাসওয়ানের। পুকার পাসওয়ান জানান যে তিনি বাড়িতে ছিলেন, যখন তিনি জানতে পারেন যে তার মেয়ে এবং নাতনিকে একটি গাড়ি পিষে দিয়েছে। এই দুর্ঘটনা পরিবার ও গ্রামের মানুষের জন্য একটি মর্মান্তিক আঘাতের মতো ছিল।

দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত জ্যোতি কুমারী বর্তমানে পিএমসিএইচে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের কাছে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং স্পীড ব্রেকার বসানোর দাবি জানাচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধ করা যায়।

পুলিশের তদন্ত শুরু

পুলিশ মামলা দায়ের করে গাড়ির চালকের খোঁজ শুরু করেছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং বিস্তারিত তদন্তের পরেই পুরো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা যাবে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাস্তায় স্পীড ব্রেকার এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব দ্রুত গতির এবং নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ির জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। গ্রামবাসীরাও এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে স্পীড ব্রেকার আগে থেকে থাকলে হয়তো এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।

Leave a comment