২০২৫ সালের পিতৃ পক্ষ: অকাল মৃত্যু পূর্বপুরুষদের শান্তি কামনায় বিশেষ पिंडदान বিধি

২০২৫ সালের পিতৃ পক্ষ: অকাল মৃত্যু পূর্বপুরুষদের শান্তি কামনায় বিশেষ पिंडदान বিধি

পিতৃ পক্ষ ২০২৫ শুরু হচ্ছে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এবং চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়কালে মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ, শ্রাদ্ধ এবং पिंडदान করা হয়। অকাল মৃত্যু বা অসময়ে মৃত পূর্বপুরুষদের पिंडदान গয়ার প্রেতশিলা পর্বতে করা হয়, যেখানে সতু (ভাজা ছাতু) দিয়ে শ্রাদ্ধ করে তাদের আত্মাকে শান্তি দেওয়া হয়।

Pitru Paksha 2025: পিতৃ পক্ষ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে ভক্তরা মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ, पिंडदान এবং শ্রাদ্ধ করেন। বিশেষ করে অকাল মৃত্যু বা অসময়ে মৃত পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ গয়া জীর কাছে প্রেতশিলা পর্বতে করা হয়। গরুড় পুরাণ অনুসারে, এখানে সতু দিয়ে पिंडदान করলে তাদের আত্মা প্রেতযোনি থেকে মুক্তি এবং শান্তি লাভ করে। এই শ্রাদ্ধ আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে বিশেষ ভাবে করা হয়।

অকাল মৃত্যু হওয়া পূর্বপুরুষদের গুরুত্ব

গরুড় পুরাণে উল্লেখ আছে যে, যারা সময় বা অকালে মারা যান, তাদের আত্মারা শান্তি পায় না। তাদের প্রেতযোনিতে ঘুরে বেড়াতে হয়। এই ধরনের পূর্বপুরুষদের জন্য বিশেষ শ্রাদ্ধ এবং पिंडदान অত্যন্ত জরুরি। সাধারণ পূর্বপুরুষদের মতো এদের पिंडदान ফাল্গুনী নদীর তীরে করা হয় না। এটি প্রেতশিলা পর্বতে বিশেষ রীতিতে করা হয়।

অকাল মৃত্যু হওয়া পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ এই কথার প্রতীক যে, মৃত্যুর অসময়ের পরেও তাদের আত্মারা যেন মোক্ষ লাভ করতে পারে এবং শান্তি প্রাপ্তি ঘটে। পিতৃ পক্ষের এই বিশেষ শ্রাদ্ধ কর্ম ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

পিণ্ডদান কোথায় করা হয়

অসময়ে মৃত পূর্বপুরুষদের पिंडदान গয়া জেলার প্রেতশিলা পর্বতে করা হয়। এই পর্বতটি ফাল্গুনী নদীর কাছে অবস্থিত। প্রেতশিলা বেদীতে শ্রাদ্ধ করলে অকাল মৃত্যু হওয়া পূর্বপুরুষদের শান্তি লাভ হয়। এখানে সূর্যাস্তের পর থাকার অনুমতি নেই। তাই ভক্তরা দিনের বেলায় এই বেদীতে पिंडदान করে থাকেন।

গয়া জীর সাধারণ পূর্বপুরুষদের पिंडदान স্থানের থেকে আলাদা, প্রেতশিলা বেদী বিশেষভাবে তাদের পূর্বপুরুষদের জন্য সংরক্ষিত যাদের মৃত্যু অসময়ে হয়েছে। এই স্থানের পবিত্রতা এবং ধর্মীয় মাহাত্ম্যের কারণে পিতৃ পক্ষ চলাকালীন এটিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে পূজা করা হয়।

অসময়ে মৃত পূর্বপুরুষদের पिंडदान কিভাবে করা হয়

গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে, অকাল মৃত্যু হওয়া পূর্বপুরুষদের पिंडदान করার সময় বিশেষ সামগ্রীর ব্যবহার করা হয়। এই पिंडदान তিল বা কুশ দিয়ে করা হয় না, বরং সতু (ভাজা ছাতু) দিয়ে করা হয়। पिंडदान করার সময় পুরোহিত বা পণ্ডিতের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।

শ্রাদ্ধ কর্মের সঙ্গে पिंडदान ছাড়াও তর্পণ করা হয়। এতে জল, ফুল এবং অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ কামনা করা হয়। এই ধর্মীয় কর্ম কেবল পূর্বপুরুষদের শান্তিই প্রদান করে না, বরং বংশের কল্যাণ ও পরিবারের সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়।

অসময়ে মৃত পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ কখন করা হয়

পিতৃ পক্ষের ১৫টি তিথির মধ্যে বিশেষ ভাবে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে অসময়ে মৃত পূর্বপুরুষদের पिंडदान ও শ্রাদ্ধ করা হয়। এই দিনে ভক্তরা পণ্ডিত বা পুরোহিতের উপস্থিতিতে বিধি অনুসারে শ্রাদ্ধ কর্ম সম্পন্ন করেন। এই তিথি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

অকাল মৃত্যু হওয়া পূর্বপুরুষদের এই শ্রাদ্ধ তাদের আত্মাকে প্রেতযোনি থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি, পরিবারের সদস্যরা পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদে তাদের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি অনুভব করেন।

পিতৃ পক্ষের বার্তা

পিতৃ পক্ষ কেবল পূর্বপুরুষদের স্মৃতিতে পালিত কর্ম নয়। এটি আমাদের জীবন ও মৃত্যুর অনিবার্যতা, ধর্ম ও ঐতিহ্যের গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়। অসময়ে মৃত পূর্বপুরুষদের বিশেষ শ্রাদ্ধ আমাদের শেখায় যে, পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য সঠিক সময় ও পদ্ধতি অনুসরণ করা অপরিহার্য।

Leave a comment