ব্রাজিলে ব্রিক্স সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ব্রাজিলে ব্রিক্স সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রাজিলে পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি ১৭তম ব্রিক্স সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি রবিবার রাতে রিও ডি জেনেইরোর গ্যালেও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার আমন্ত্রণে এই সফরে এসেছেন।

PM Modi Brazil Visit: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার গভীর রাতে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে পৌঁছান, যেখানে তিনি ১৭তম ব্রিক্স সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার আমন্ত্রণে মোদী এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো ব্রাজিল সফরে এসেছেন। তাঁর এই সফর ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন দিশা দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

রিও ডি জেনেইরোর গ্যালেও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষ উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত बातचीतকালে বলেন, ব্রিক্স সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি, তিনি ব্রাজিলের নেতৃত্বের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করতেও আগ্রহী।

ব্রিক্সের মঞ্চ থেকে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি

রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলনে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা অংশ নিচ্ছেন। বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিরতা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, এবং উন্নয়নশীল বাজারে বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলি এবারের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রধান লক্ষ্য থাকবে উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বার্থের কথা আরও জোরালোভাবে তুলে ধরা, যাতে বহুপাক্ষিক মঞ্চে ভারতের ভূমিকা ও প্রভাব আরও শক্তিশালী করা যায়।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের সময় সদস্য দেশগুলির নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করবেন, যেখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা নিয়ে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রাসিলিয়ায় রাষ্ট্রীয় আলোচনা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করা হবে

ব্রিক্স সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। এখানে তিনি রাষ্ট্রপতি লুলা দা সিলভার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। এই সময় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি, মহাকাশ বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য এবং কৃষি-র মতো ক্ষেত্রগুলিতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে ভারত-ব্রাজিলের মধ্যে প্রতিরক্ষা এবং শক্তি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও, দুই নেতা ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং সবুজ শক্তির ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে পারেন।

ভারত-ব্রাজিলের মধ্যে ২০০৬ সালে স্থাপিত 'কৌশলগত অংশীদারিত্ব'-কে নতুন যুগের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা এই সফরে দেখা যাবে। ভারতের আশা, ব্রাজিলের মতো ল্যাটিন আমেরিকার শক্তিশালী কেন্দ্রের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক, বিশ্ব দক্ষিণের দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করবে।

ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংযোগও এজেন্ডায় রয়েছে

প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ব্রাজিল সফরের সময় সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের লোকেদের সঙ্গেও মিলিত হবেন। ভারতীয় প্রবাসীদের বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবকদের ভারতের উন্নয়নে যুক্ত করতে কিছু নতুন উদ্যোগের ঘোষণা করতে পারেন।

Leave a comment