প্রতীক যাদবকে ৫ কোটি টাকার তোলা চেয়ে ব্ল্যাকমেইল, FIR দায়ের

প্রতীক যাদবকে ৫ কোটি টাকার তোলা চেয়ে ব্ল্যাকমেইল, FIR দায়ের

প্রতীক যাদবের কাছে পরিচিত এক ব্যক্তি ৫ কোটি টাকার তোলা চেয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁদের POCSO-র মতো গুরুতর মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে। FIR-এ প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

UP সংবাদ: উত্তরপ্রদেশে একটি হাই-প্রোফাইল তোলাবাজি ও প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি অখিলেশ যাদবের ভাই প্রতীক যাদব গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। প্রতীক যাদব তাঁর পুরনো পরিচিত কৃষ্ণানন্দ পান্ডের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছেন, যেখানে ৫ কোটি টাকা তোলা চাওয়ার এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রতীক যাদব গৌতমপল্লী থানায় FIR দায়ের করেছেন

লখনউয়ের গৌতমপল্লী থানায় দায়ের করা FIR-এ প্রতীক যাদব কৃষ্ণানন্দ পান্ডের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বন্দনা পান্ডে এবং বাবা অশোক কুমার পান্ডের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। FIR-এ প্রতীক যাদব দাবি করেছেন যে কৃষ্ণানন্দ তাঁকে POCSO-র মতো গুরুতর অভিযোগে ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছেন।

২০১১ সাল থেকে যোগাযোগ শুরু হয়েছিল

FIR অনুসারে, প্রতীক যাদব এবং কৃষ্ণানন্দ পান্ডের প্রথম দেখা ২০১১-১২ সালে হয়েছিল। সেই সময় কৃষ্ণানন্দ প্রতীক যাদবের জীবনযাত্রা ও ব্যবসা দেখে প্রভাবিত হয়ে বাণিজ্যিক প্রস্তাব দেওয়া শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি প্রতীককে রিয়েল এস্টেট প্রজেক্টে অংশীদার হওয়ার প্রস্তাব দেন।

রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের প্রস্তাব এবং প্রতারণা

কৃষ্ণানন্দ পান্ডে প্রতীক যাদবকে পরামর্শ দেন যে লখনউয়ের শহীদ পথ এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করে ভবিষ্যতে লাভের জন্য বিক্রি করা হোক। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রতীক ২০১৫ সালে একটি কোম্পানি তৈরি করেন, যেখানে কৃষ্ণানন্দকে পরিচালক নিযুক্ত করা হয় এবং প্রতীক নিজে প্রোমোটার হিসেবে কাজ করেন। প্রতীকও কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন।

কোম্পানির কাজে অনিয়ম এবং প্রতারণা

প্রতীক যাদবের মতে, তিনি কৃষ্ণানন্দকে কোম্পানির ক্রয়-বিক্রয় এবং অন্যান্য দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণানন্দ এই দায়িত্বগুলি পালন না করে কোম্পানির ফান্ডের অপব্যবহার করেন এবং ব্যক্তিগত লাভ করেন। এর ফলে প্রতীক এবং তাঁর কোম্পানির বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়।

ধীরে ধীরে ব্যক্তিগত তথ্যের কাছে পৌঁছনো

FIR-এ আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে কৃষ্ণানন্দ প্রতীক যাদবের স্টাফদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেন এবং তাঁর অন্যান্য ব্যবসার তথ্য সংগ্রহ করেন। এই সময়ে তিনি তাঁর দুর্বল আর্থিক অবস্থা এবং পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে প্রতীকের কাছে বারবার আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন।

আর্থিক সাহায্যের নামে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র

প্রতীক যাদবের দাবি, প্রথমে তিনি মানবিকতার খাতিরে সাহায্য করেছিলেন, কিন্তু পরে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে কৃষ্ণানন্দের উদ্দেশ্য ছিল কেবল সুবিধা নেওয়া। যখন প্রতীক বিনিয়োগের হিসাব চান, তখন কৃষ্ণানন্দ তাঁকে মিথ্যা POCSO মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।

FIR-এ প্রতীক যাদব আরও জানিয়েছেন যে কৃষ্ণানন্দের স্ত্রী বন্দনা পান্ডে এবং তাঁর বাবা অশোক কুমার পান্ডেও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। তাঁরাও আর্থিক প্রতারণা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছিলেন।

কোভিডের পর উদ্ঘাটন

প্রতীক যাদব জানিয়েছেন, কোভিড সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর তিনি নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পান যে কৃষ্ণানন্দ একজন অসামাজিক প্রকৃতির ব্যক্তি। তাঁর উদ্দেশ্য শুরু থেকেই সন্দেহজনক ছিল এবং তিনি প্রতীকের সঙ্গে কেবল সামাজিক সম্পর্ক ও আর্থিক সম্পদের শোষণের জন্য ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিলেন।

প্রতীক যাদবের দাবি

FIR-এ প্রতীক পুলিশকে এই প্রতারণা ও তোলাবাজির ঘটনার গভীর তদন্ত করার এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

Leave a comment