রাজস্থান কংগ্রেসে ৫০ নতুন জেলা সভাপতি নিয়োগের প্রস্তুতি, দিল্লিতে গেহলট-পাইলটের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

রাজস্থান কংগ্রেসে ৫০ নতুন জেলা সভাপতি নিয়োগের প্রস্তুতি, দিল্লিতে গেহলট-পাইলটের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

রাজস্থান কংগ্রেসে সাংগঠনিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ৫০টি জেলায় নতুন জেলা সভাপতি নিয়োগ করা হবে। রাহুল গান্ধীর ‘সংগঠন সৃজন অভিযান’-এ অশোক গেহলট এবং শচীন পাইলটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে এবং দিল্লিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।

জয়পুর: রাজস্থান কংগ্রেসে খুব শীঘ্রই সাংগঠনিক পরিবর্তন আসতে চলেছে। রাহুল গান্ধীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘সংগঠন সৃজন অভিযান’-এর অধীনে রাজ্যের ৫০টি জেলায় নতুন জেলা সভাপতিদের নিয়োগের প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। দলীয় সূত্র অনুসারে, এই প্রক্রিয়ায় ৩০০০-এর বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

গত কিছুদিন আগে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৩০ জন পর্যবেক্ষককে রাজস্থানে পাঠিয়েছিল, যাঁরা প্রতিটি জেলায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। এই রিপোর্টগুলিতে যোগ্য, সক্রিয় এবং সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী কর্মীদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে।

দিল্লিতে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

সংগঠন সৃজন অভিযানের তদারকি করছেন কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে.সি. ভেনুগোপাল। সকল পর্যবেক্ষক তাঁদের রিপোর্ট তাঁর কাছে জমা দিয়েছেন। রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য আগামীকাল দিল্লিতে ভেনুগোপালের সভাপতিত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

সূত্র অনুযায়ী, বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিং ডোটাসরা, বিরোধী দলনেতা টিকারাম জুলি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং সাধারণ সম্পাদক শচীন পাইলটও উপস্থিত থাকবেন। সমস্ত সিনিয়র নেতাদের ব্যক্তিগত মতামত নেওয়ার পর নতুন জেলা সভাপতিদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে।

সিনিয়র নেতাদের অবদান এবং নিরপেক্ষ প্রক্রিয়া

এবার জেলা সভাপতিদের নিয়োগে বড় নেতাদের ব্যক্তিগত সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। দল জানিয়েছে যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে রিপোর্ট-ভিত্তিক এবং নিরপেক্ষ হবে। পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টকেই মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হবে, যাতে সংগঠনে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকে এবং কর্মীদের সক্ষমতার সঠিক মূল্যায়ন হয়।

আধিকারিকদের মতে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক শক্তি ও সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে দলের সংগঠন শক্তিশালী হবে এবং আসন্ন নির্বাচনী কৌশলগুলিতে সহায়তা মিলবে।

কংগ্রেস সংগঠনে গেহলট-পাইলটের অবদান

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শচীন পাইলট উভয়ের ভূমিকাই এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠকে তাঁদের মতামত এবং পরামর্শ চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের সাংগঠনিক পরিবর্তন রাজস্থান কংগ্রেসের জন্য একটি মাইলফলক প্রমাণিত হতে পারে। রাহুল গান্ধীর সংগঠন সৃজন অভিযানকে তৃণমূল স্তরে কার্যকর করার দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

Leave a comment