রাজস্থান হাইকোর্ট পথের কুকুর ও অন্যান্য জন্তু-জানোয়ারের দ্বারা সংঘটিত ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে শহরগুলোর রাস্তা থেকে এদের সরানোর জন্য কড়া নির্দেশ জারি করেছে। এই পদক্ষেপ জনগণের নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয়েছে এবং যারা এতে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজস্থান পথের কুকুর অপসারণের নির্দেশ: রাজস্থান হাইকোর্ট ১১ই আগস্ট জয়পুর, যোধপুর এবং উদয়পুরের নগর সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যে তারা যেন রাস্তা থেকে অবিলম্বে পথের কুকুর ও অন্যান্য জন্তু-জানোয়ার সরিয়ে নেয়, যাতে জনগণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়। পথের কুকুরের কামড়ের ঘটনা এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এই কাজে যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তী শুনানি ৮ই সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে। এই নির্দেশের পরে রাজ্য প্রশাসন সক্রিয় হয়ে জনতাকে সুরক্ষিত করার দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
রাজস্থান হাইকোর্টের পথের কুকুর অপসারণের নির্দেশ
রাজস্থানে পথের কুকুরের আক্রমণ এবং অন্যান্য জন্তু-জানোয়ারের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় রাজস্থান হাইকোর্ট বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং শহরগুলোর রাস্তা থেকে পথের কুকুর ও অন্যান্য জন্তু-জানোয়ার সরানোর কড়া নির্দেশ দিয়েছে। আদালত নগর সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যে তারা যেন পথের পশুদের এমনভাবে সরিয়ে নেয় যাতে তাদের ন্যূনতম শারীরিক ক্ষতি হয়। আদালত আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, এই প্রক্রিয়ায় যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্দেশের পরে রাজস্থানের প্রধান শহরগুলোতে পথের কুকুর সরানোর জন্য প্রশাসন সক্রিয় হবে।
এই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের দিল্লি-এনসিআর থেকে পথের কুকুর সরানোর নির্দেশের পরে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট ৮ সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি-এনসিআর-এর সমস্ত পথের কুকুরকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। আদালত এও জানায় যে, আবাসিক এলাকা থেকে কুকুর সরাতে যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজস্থান হাইকোর্ট রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে পথের পশু সংক্রান্ত সমস্যাগুলো নির্মূল করার জন্য তৎপর থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা
১১ই আগস্ট রাজস্থান হাইকোর্ট জয়পুর, যোধপুর এবং উদয়পুরের নগর সংস্থাগুলোকে পথের কুকুর ও অন্যান্য জন্তু-জানোয়ার রাস্তা থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, এই প্রক্রিয়ায় কাউকে বাধা দেওয়ার অনুমতি নেই। যদি কেউ প্রশাসনিক কাজে বাধা দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নগর নিগমের আধিকারিক ও কর্মচারীদের এই কাজে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ও ছাড় দেওয়া হয়েছে যাতে তারা কোনো ভয় ছাড়াই কাজ করতে পারে। আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ই সেপ্টেম্বর রেখেছে, যেখানে প্রশাসনের অগ্রগতির পর্যালোচনা করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজস্থানে কড়া পদক্ষেপ
দিল্লি-এনসিআর-এ পথের কুকুরের আক্রমণ এবং রেবিস থেকে মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ৮ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত পথের কুকুরকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছিল যে, যদি কেউ এই কাজে বাধা দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজস্থান হাইকোর্টও এই পথে হেঁটে রাজ্যে পথের কুকুর সরানোর নির্দেশ দিয়েছে, যাতে মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়। এই দুটি আদালতের নির্দেশ স্থানীয় প্রশাসনের জন্য দায়িত্ব বাড়ায় এবং পথের পশুদের থেকে উৎপন্ন সমস্যাগুলো দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।