অভিনেত্রী রাশা থাডানি এই বছর বলিউডে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছেন। তিনি 'আজাদ' সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছেন, যদিও সিনেমাটি বক্স অফিসে খুব বেশি সফল হয়নি, তবে এতে তাঁর গান 'উই আম্মা' সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে এবং লোকেরা এটিকে খুব পছন্দ করেছে।
এন্টারটেইনমেন্ট: বলিউড অভিনেত্রী रवीনা टंडन-এর মেয়ে এবং নতুন উঠতি অভিনেত্রী রাশা থাডানি (Rasha Thadani) কেবল তাঁর সিনেমা এবং গানের জন্যই নন, বরং তাঁর দয়ালু হৃদয় এবং সামাজিক কাজের জন্যও শিরোনামে রয়েছেন। সম্প্রতি, রাশা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করে জানিয়েছেন যে তিনি এই বছর তিনটি অসহায় প্রাণীকে দত্তক নিয়েছেন।
এদের মধ্যে দুটি কুকুর এবং একটি বিড়াল রয়েছে। রাশার এই উদ্যোগ শুধুমাত্র মানবতার উদাহরণ নয়, এটি আরও জানায় যে কিভাবে দয়া ও করুণা দিয়ে জীবন পরিবর্তন করা যেতে পারে।
রাশা থাডানির ফিল্মি কেরিয়ার
রাশা থাডানি এই বছর 'আজাদ' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। যদিও সিনেমাটি বক্স অফিসে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল করতে পারেনি, তবে রাশার গান "উই আম্মা" সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছিল। এছাড়াও, রাশা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং পশুপ্রেমী স্বভাবের জন্য পরিচিত। তিনি নিজেকে সবসময় কুকুর প্রেমী বলে এসেছেন এবং এখন তাঁর বাড়িতে তিনজন নতুন সদস্যও যুক্ত হয়েছে।
রাশা তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন যে বছরের শুরুতে তিনি দুটি কুকুরছানাকে দত্তক নিয়েছেন। তাদের নাম রাখা হয়েছে এলসা এবং আজাদ। দু'জনকেই মুষলধারে বৃষ্টির সময় একটি হাইওয়েতে অসহায় অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তারা খুবই দুর্বল, ভীত এবং অসুস্থ ছিল। রাশা লিখেছেন,
'এই বছরের শুরুতে আমরা আমাদের ঘর এবং হৃদয়ের দরজা এলসা এবং আজাদের জন্য খুলে দিয়েছিলাম। দু'জনকে হাইওয়ে থেকে বাঁচানো হয়েছিল। আজ তারা সুরক্ষিত এবং আমাদের পরিবারের অংশ। এটা মনে করিয়ে দেয় যে দত্তক নেওয়া অনেক জীবন বাঁচাতে পারে।'
রাশা জানিয়েছেন যে এলসা যখন প্রথম তাঁর কাছে এসেছিল, তখন এত দুর্বল ছিল যে নিজে থেকে উঠতেও পারতো না। অন্যদিকে আজাদকে তার আগের মালিক খুব খারাপভাবে অত্যাচার করত। তার মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে গিয়েছিল এবং সে ঠিক করে হাঁটতেও পারত না। কিন্তু রাশা এবং তাঁর পরিবারের যত্নে দুজনের জীবন বদলে গেছে।
খুশহাল জীবন যাপন করছে দুটি কুকুর
আজ এলসা এবং আজাদ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছে। তারা বাড়িতে স্বাধীনভাবে দৌড়ে বেড়ায়, খেলা করে, নিজেদের খেলনা নিয়ে মজা করে এবং যখনই পরিবারের কোনো সদস্য বাড়ি ফেরে তখন খুশিতে লেজ নাড়ে। এই পরিবর্তন প্রমাণ করে যে একটু দয়া ও যত্ন যেকোনো অসহায় প্রাণীর জীবন পরিবর্তন করতে পারে।
কুকুরদের পর রাশা একটি বিড়ালছানাকেও দত্তক নিয়েছেন, যার নাম রেখেছেন বিল্লু। এই বিড়ালছানাটির কেবল একটি চোখ ছিল এবং একদিন তাদের অফিসের কাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। রাশা সঙ্গে সঙ্গে তাকে দত্তক নেন এবং চিকিৎসা করান। ভ্যাকসিন এবং ওষুধের পর আজ বিল্লু শুধু সুস্থ নয়, খুবই চঞ্চল এবং প্রাণবন্তও। রাশা লিখেছেন, বিল্লু আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে গেছে। সে আমাদের রোজ হাসায়, আনন্দ দেয় এবং আমাদের অ্যাক্টিভ রাখে।