ভাত-রুটি খাওয়ার পর মিষ্টির লোভ অনেকেরই থাকে। কিন্তু যখন এই লোভ ক্রমাগত বেড়ে যায়, তখন সেটি শুধুই রসনার টান নয়—বরং শরীরের ভিতরে কোনও ঘাটতির ইঙ্গিত। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘সুগার ক্রেভিং’ বা মিষ্টির প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ শরীরের জন্য ভয়ানক সংকেত হতে পারে।

মিষ্টির লোভ কী জানাচ্ছে শরীর?
অতিরিক্ত মিষ্টির প্রতি আকর্ষণকে বলা হয় সুগার ক্রেভিং। এটি শরীরের ভিতরে গ্লুকোজ, প্রোটিন বা হরমোনের ঘাটতির দিকেই ইঙ্গিত দেয়।
সুগার ক্রেভিংয়ের মারাত্মক প্রভাব
চিনি অতিরিক্ত খেলে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এমনকি বিষণ্নতার মতো সমস্যাও হতে পারে। শরীরে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন বেড়ে গেলে মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

কেন হয় এই প্রবণতা?
দীর্ঘ অনাহার বা অতিরিক্ত ডায়েটিং করলে শরীরে গ্লুকোজ কমে যায়।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে জাঙ্ক ফুড বা মিষ্টির প্রতি টান বাড়ে।
শরীরে পানিশূন্যতা থাকলেও মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে জাগতে পারে।

প্রোটিনের ঘাটতি কি কারণ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে বারবার মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে। তাই শুধু চিনি নয়, সুষম খাদ্য—প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন—সমানভাবে গ্রহণ করা জরুরি।

সুগার ক্রেভিংকে হালকা ভাবে নিলে চলবে না। এটি শরীরের বড় সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। তাই মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়, তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

খাবার খেলেই যদি মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে জাগে, তবে তা শরীরের জন্য বিপদের ঘণ্টা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস ডায়াবেটিস, স্থূলতা থেকে শুরু করে হরমোনের অসামঞ্জস্য—বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দিতে পারে।













