রিঙ্গাস পৌরসভার চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

রিঙ্গাস পৌরসভার চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

রিঙ্গাস পৌরসভার চেয়ারম্যান হরিশঙ্কর নিঠারওয়ালকে ১০৩টি পাট্টায় স্বাক্ষর না করা এবং মিটিংগুলিতে অনুপস্থিত থাকার কারণে বিভাগ কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।

সিকার: রিঙ্গাস পৌরসভায় আজকাল প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়ে হুলুস্থুল চলছে। পৌর চেয়ারম্যান হরিশঙ্কর নিঠারওয়ালের বিরুদ্ধে বিভাগ কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। অভিযোগ উঠেছে যে তিনি কৃষি নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত ১০৩টি পাট্টা নথিতে ইচ্ছাকৃতভাবে স্বাক্ষর করেননি, যার ফলে শত শত নাগরিকের জমির সংক্রান্ত কাজগুলি আটকে গেছে।

নাগরিকদের অভিযোগ থেকে প্রকাশ

এই পুরো ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন সম্প্রতি রিঙ্গাস সফরে আসা রাজস্থান সরকারের স্বায়ত্তশাসন প্রতিমন্ত্রী ঝাবর সিং খর্রাকে কয়েকজন স্থানীয় নাগরিক অভিযোগ জানান। অভিযোগে বলা হয় যে বৈধ কাগজপত্র এবং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেও তাদের পৌরসভা থেকে পাট্টা (জমির দলিল) জারি করা হচ্ছে না। মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের পর জানা যায় যে পৌরসভার নির্বাহী আধিকারিক ইতিমধ্যেই ১০৩টি পাট্টা ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন, কিন্তু চেয়ারম্যান হরিশঙ্কর নিঠারওয়াল চূড়ান্ত অনুমোদনের স্বাক্ষর ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রেখেছেন।

উন্নয়ন প্রকল্পেও প্রভাব

তদন্তে আরও জানা গেছে যে নিঠারওয়াল কেবল পাট্টা নিয়েই উদাসীন নন, বরং তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়েও নিয়মিতভাবে অনুপস্থিত ছিলেন। বিশেষ করে লেআউট প্ল্যান কমিটির মিটিংয়ে তার অনুপস্থিতির কারণে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব সময়মতো পাস করা যায়নি। এর ফলে রিঙ্গাস শহরে অবকাঠামো সংক্রান্ত কাজও বন্ধ হয়ে গেছে।

বিভাগের কঠোর সতর্কতা

স্বায়ত্তশাসন বিভাগের উপ-পরিচালক বিনোদ পুরোহিত চেয়ারম্যানকে নোটিশ জারি করে লিখেছেন যে পৌরসভার চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও হরিশঙ্কর নিঠারওয়াল তার দায়িত্ব পালনে গাম্ভীর্য দেখাচ্ছেন না। এটি কেবল প্রশাসনিক উদাসীনতাই নয়, এর ফলে জনগণের প্রয়োজনও প্রভাবিত হচ্ছে। নোটিশে আরও বলা হয়েছে যে, যদি চেয়ারম্যান দ্রুত মুলতুবি থাকা ফাইলগুলির নিষ্পত্তি না করেন, তবে বিভাগ নিজেই সেই ফাইলগুলি প্রক্রিয়াকরণ করে কার্যকর করবে এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজনৈতিক মহলেও চাঞ্চল্য

এই ঘটনার পর রিঙ্গাসের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধী কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। তাদের বক্তব্য, সাধারণ নাগরিকদের পাট্টার জন্য মাসের পর মাস ঘুরানো হচ্ছে, যেখানে কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ

রিঙ্গাসের বাসিন্দারা এই ঘটনার জেরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। যারা সমস্ত প্রক্রিয়া ও ফি পরিশোধ করেছেন, তারাও এখনো পাট্টা পাননি। এর ফলে কেবল তাদের সম্পত্তি সংক্রান্ত লেনদেন আটকে আছে তা নয়, ভবন নির্মাণের মতো কাজও বন্ধ হয়ে গেছে। নাগরিকরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, দ্রুত ফাইলগুলির নিষ্পত্তি না হলে তারা পৌরসভার বাইরে বিক্ষোভ করবেন।

Leave a comment