রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলা: ইউক্রেনে ৭০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র

রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলা: ইউক্রেনে ৭০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র

রাশিয়া ইউক্রেনের উপর ৭০০ ড্রোন, ১৫টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু-সক্ষম বোমারু বিমান দিয়ে সর্ববৃহৎ আক্রমণ চালাল। পশ্চিমা শহরগুলো ছিল আক্রমণের লক্ষ্য। মার্কিন অস্ত্রও এই আক্রমণের কেন্দ্রে ছিল।

Russia Ukraine Attack: ১২ই জুলাই, ২০২৫-এ রাশিয়া ইউক্রেনের উপর সর্ববৃহৎ এবং ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই হামলায় রাশিয়া ৫৬০ থেকে ৭০০ পর্যন্ত ড্রোন, ১৫টির বেশি Kh-101 ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কয়েকটি বোমারু বিমান ব্যবহার করে। আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল লভিভ, লুৎস্ক এবং চেরনিভটসি-এর মতো পশ্চিমা ইউক্রেনের শহরগুলো। এই এলাকাগুলোতে বেসামরিক ও সামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

আক্রমণে ব্যবহৃত অস্ত্র

রুশ সেনা এবার ইউক্রেনের উপর আক্রমণের জন্য ব্যাপক পরিমাণে অস্ত্রের সমাবেশ ঘটিয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী:

  • প্রায় ৫৬০ থেকে ৭০০ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল।
  • ১৫টির বেশি Kh-101 ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
  • ১০টি বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল, যার মধ্যে তিনটির বেশি পরমাণু-সক্ষম Tu-95 এবং Tu-160 বোমারু বিমান অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কিয়েভ এবং পশ্চিমা ইউক্রেন প্রধান লক্ষ্যবস্তু

রাশিয়া এবার ইউক্রেনের পশ্চিমা শহরগুলোকে প্রাথমিক লক্ষ্য বানিয়েছিল, যা এতদিন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছিল। লভিভ, লুৎস্ক এবং চেরনিভটসি-এর মতো শহরগুলোতে হামলা করে রাশিয়া ইঙ্গিত দিয়েছে যে যুদ্ধ এখন দেশের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে পড়েছে।

মার্কিন অস্ত্র হামলার কেন্দ্রবিন্দু

এই হামলায় রাশিয়া বিশেষভাবে আমেরিকা কর্তৃক ইউক্রেনকে দেওয়া নতুন অস্ত্রগুলোকে নিশানা বানিয়েছে। রুশ মিডিয়া ও সামরিক সূত্র অনুসারে, এই আধুনিক অস্ত্রগুলোকে "ট্রাম্প অস্ত্র" বলা হচ্ছে, যেগুলোর মোতায়েন সম্প্রতি করা হয়েছিল। রাশিয়ার দাবি, তারা এই অস্ত্রগুলোকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা চালাচ্ছে।

রাশিয়ার ইঙ্গিত: অভিযান এখনো বাকি আছে

রাশিয়া এই হামলার পর স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে এটি কেবল শুরু। রাশিয়ার বক্তব্য, তারা এখন শুধু দেখছে না, বরং কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। রুশ সেনা মনে করে যে পশ্চিমা সমর্থন থেকে আসা অস্ত্র যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে এবং তাদের সময় থাকতে ধ্বংস করা জরুরি।

বোমারু বিমানের ওড়াউড়ি আতঙ্ক বাড়িয়েছে

Tu-95 এবং Tu-160-এর মতো পরমাণু-সক্ষম বোমারু বিমান ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হওয়ার খবরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই বোমারু বিমানগুলো উচ্চ ক্ষমতা ও ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার জন্য পরিচিত। এদের উপস্থিতি ইউক্রেনের নাগরিক ও সেনা উভয়ের জন্যই গুরুতর হুমকি।

ইউক্রেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাপে

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী এবং নাগরিক সুরক্ষা সংস্থাগুলো এই বৃহৎ হামলার জবাব দিতে ব্যস্ত। তবে, এত ব্যাপক আকারে হওয়া হামলা প্রতিহত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন যে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে, কিন্তু তাদের আরও সমর্থনের প্রয়োজন।

লভিভ এবং লুৎস্কের মতো শহরগুলোতে বোমা হামলার পর স্থানীয় নাগরিকদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে পালায়ন করছে। স্কুল, হাসপাতাল এবং আবাসিক এলাকাতেও ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

Leave a comment