রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি এবং সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের মধ্যে কোনো মতভেদ নেই এবং কোনো পদত্যাগ বা পদ পরিবর্তনেরও কোনো পরিকল্পনা নেই।
PAK: পাকিস্তানে সম্প্রতি এই আলোচনা জোরালো হয়ে উঠেছিল যে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারিকে পদত্যাগ করতে বলা হতে পারে এবং তাঁর জায়গায় দেশের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে রাষ্ট্রপতি করা যেতে পারে। এই গুজব রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং মিডিয়াতেও এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কড়া মন্তব্য
এই জল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দিয়ে এগুলিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি 'দ্য নিউজ'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "জেনারেল আসিম মুনির কখনো রাষ্ট্রপতি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি এবং এমন কোনো পরিকল্পনাও করা হয়নি। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্বাস, স্বচ্ছতা এবং পাকিস্তানের উন্নতির অভিন্ন লক্ষ্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত।"
শরিফ আরও বলেন যে, এটা সম্পূর্ণ গুজব, যার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি এ কথাও স্পষ্ট করেছেন যে জারদারি এবং মুনির উভয়ের সঙ্গেই তাঁর সরকারের শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল সম্পর্ক রয়েছে।
‘বিদেশি শক্তি’র ওপর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ
শাহবাজ শরিফের বিবৃতির ঠিক আগে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভিও এই গুজব সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দেন। তিনি এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ বলেছেন, "জারদারি, শরিফ এবং মুনিরের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তার পেছনে কিছু বিদেশি শক্তি রয়েছে।"
নকভির মতে, "এটা স্পষ্ট যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে বলার কোনো কথা হয়নি এবং সেনাপ্রধানকে রাষ্ট্রপতি করারও কোনো পরিকল্পনা নেই। এই ধরনের ষড়যন্ত্রগুলি পাকিস্তানকে অস্থির করার জন্য করা হচ্ছে, যেখানে বিদেশি সংস্থাগুলির হাত থাকতে পারে।"
আসিফ জারদারি এবং আসিম মুনিরের কার্যকাল
জেনারেল আসিম মুনিরকে ২০২২ সালে পাকিস্তানের সেনা প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছিল। শুরুতে তাঁর কার্যকাল তিন বছরের ছিল, যা পরে সরকার পাঁচ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। অন্য দিকে, আসিফ আলি জারদারিকে গত বছরই পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। এই পদটি তিনি সেই রাজনৈতিক সমর্থনের বিনিময়ে পেয়েছিলেন, যা তিনি শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী করতে দিয়েছিলেন।