সৌদি শিপিং কোম্পানি বাহরির বিরুদ্ধে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানোর অভিযোগ। ইতালিতে জাহাজ আটক। কোম্পানি এই দাবি খারিজ করে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
সৌদি আরব: সম্প্রতি সৌদি আরবের সরকারি শিপিং কোম্পানি বাহরির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তাদের জাহাজ ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ করার কাজে জড়িত। ইতালির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে বাহরি ইয়ানবু নামের কোম্পানির একটি জাহাজ ইতালির একটি বন্দরে অস্ত্র বোঝাই অবস্থায় আটক করা হয়েছে। এই খবরের পর আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
সৌদি আরবের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া
সোমবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাহরি সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। কোম্পানি বলেছে যে এই দাবিগুলো "মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন"। বাহরি জানিয়েছে যে তারা ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের নীতিকে সমর্থন করে। কোম্পানি আরও স্পষ্ট করেছে যে তারা কখনও ইসরায়েলে কোনো পণ্য বা চালান পাঠায়নি এবং এই ধরনের কোনো অপারেশনে জড়িত নয়।
আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি
বাহরি জানিয়েছে যে তাদের সমস্ত কার্যক্রম স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে পরিচালিত হয়। কোম্পানির মতে, তাদের কাজকর্ম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করা হয়। তারা আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে তারা এমন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত যারা কোম্পানির সুনাম ক্ষুন্ন করে এমন ভুল দাবি করবে।
ইতালির সংবাদমাধ্যমে কী এসেছে
ইতালির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখে জেনোয়া বন্দরে বাহরি ইয়ানবু নামক জাহাজটিকে প্রায় ৪০ জন বন্দর কর্মী আটকে দেয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাহাজটিতে অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, সাঁজোয়া যান এবং ইতালিতে তৈরি OTO Melara নৌ কামান বোঝাই ছিল। এও বলা হয়েছে যে এই পণ্য ইসরায়েলে পাঠানো হচ্ছিল।
অস্ত্র কোথা থেকে এসেছিল
প্রতিবেদন অনুসারে, জাহাজটি আমেরিকার বাল্টিমোর বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং পথে আরও অস্ত্র বোঝাই করার কথা ছিল। ইতালির শ্রমিক ইউনিয়নগুলো জাহাজটিকে আটকানোর সিদ্ধান্ত নেয় কারণ তাদের দাবি ছিল যে এই সামরিক সরঞ্জাম সরাসরি ইসরায়েলে পাঠানো হচ্ছে।