জম্মু ও কাশ্মীরে চেনাব নদীর উপর সাওয়ালকোট পাওয়ার প্রজেক্ট অনুমোদন: পাকিস্তানের জন্য কড়া বার্তা

জম্মু ও কাশ্মীরে চেনাব নদীর উপর সাওয়ালকোট পাওয়ার প্রজেক্ট অনুমোদন: পাকিস্তানের জন্য কড়া বার্তা

ভারত জম্মু ও কাশ্মীর-এর চেনাব নদীর উপর সাওয়ালকোট পাওয়ার প্রজেক্ট অনুমোদন করেছে। ১৮৫৬ মেগাওয়াটের এই প্রকল্পটিকে পাকিস্তানের জন্য জলের ক্ষেত্রে একটি বড় আঘাত হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

Water Strike: পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে ভারত জম্মু ও কাশ্মীর-এর চেনাব নদীর উপর সাওয়ালকোট পাওয়ার প্রজেক্ট অনুমোদন করেছে। কয়েক দশক ধরে ঝুলে থাকা এই ১৮৫৬ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্রজেক্টটি অবশেষে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। ভারত সরকার এর জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করেছে, যার শেষ তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধুমাত্র শক্তি উৎপাদন বাড়বে তাই নয়, পাকিস্তানের উপর কৌশলগত চাপও বাড়বে।

সাওয়ালকোট পাওয়ার প্রজেক্টের ছাড়পত্র

ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীর-এর রামবান জেলায় চেনাব নদীর উপর প্রস্তাবিত সাওয়ালকোট হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। সরকার এর নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে টেন্ডার আহ্বান করেছে। ১৮৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই महत्वाकांक्षी প্রজেক্টের জন্য অনলাইন বিড জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০২৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

চার দশকের দেরির পর ফের গতি

সাওয়ালকোট পাওয়ার প্রজেক্টটি বিগত চার দশক ধরে প্রশাসনিক, পরিবেশগত এবং রাজনৈতিক বাধার কারণে বন্ধ ছিল। পাকিস্তানের আপত্তি এবং আন্তর্জাতিক চাপও এই প্রকল্পটিকে ঝুলিয়ে রাখতে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ভারতের কৌশলগত নীতিতে পরিবর্তনের কারণে এখন এই প্রজেক্টটিকে পুনরায় গতি দেওয়া হয়েছে।

চেনাব নদীতে জল সংরক্ষণের কৌশল

এই প্রকল্পটি চেনাব নদীর উপর নির্মিত হবে, যা সিন্ধু জল চুক্তির অধীনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জলবণ্টনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের জল সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়বে এবং পাকিস্তানের দিকে যাওয়া জলের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এর ফলে ভারত তার অংশের জলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে।

সিন্ধু জল চুক্তি ও ভারতের পরিবর্তিত রণনীতি

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, "জল ও রক্ত একসাথে বইতে পারে না।" এরপর ভারত পাকিস্তানের সাথে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার দিকে পদক্ষেপ নেয়। এই নীতিগত পরিবর্তনের প্রভাব এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

কেন खास সাওয়ালকোট প্রজেক্ট?

  • ऊर्जा उत्पादन: এই প্রজেক্টটি ১৮৫৬ মেগাওয়াটের বিশাল ऊर्जा ক্ষমতার সাথে জম্মু ও কাশ্মীর এবং आसपासের অঞ্চলে ऊर्जा সংকট দূর করতে সাহায্য করবে।
  • रणनीतिक नियंत्रण: ভারতের নিজের অংশের জলসম্পদের উপর আরও ভালো নিয়ন্ত্রণ স্থাপিত হবে, যা পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াবে।
  • स्थानीय विकास: এই প্রকল্পের মাধ্যমে क्षेत्रीय স্তরে কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নের সুযোগও সৃষ্টি হবে।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য প্রভাব

ভারতের এই পদক্ষেপে পাকিস্তানের উদ্বেগ বাড়া স্বাভাবিক। সিন্ধু নদের উপনদীগুলো – রাভি, বিয়াস, শতদ্রু, ঝিলম এবং চেনাব – ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের জন্য জীবনরেখা হিসেবে বিবেচিত হয়। ভারতের সাওয়ালকোট প্রজেক্ট এই নদীগুলোর জলপ্রবাহের উপর পাকিস্তানের নির্ভরশীলতার উপর প্রভাব ফেলবে।

ভারত সরকার আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর থেকে টেন্ডার আহ্বান করেছে। ইচ্ছুক কোম্পানিগুলো ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইন বিড জমা দিতে পারবে। একবার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a comment