শ্রাবণের দ্বিতীয় সোমবারে শিবের কৃপা বর্ষণ দান করুন এই বিশেষ দ্রব্যগুলি মিলবে মানসিক শান্তি ও গ্রহদোষ থেকে মুক্তি

শ্রাবণের দ্বিতীয় সোমবারে শিবের কৃপা বর্ষণ দান করুন এই বিশেষ দ্রব্যগুলি মিলবে মানসিক শান্তি ও গ্রহদোষ থেকে মুক্তি

শ্রাবণের দ্বিতীয় সোমবার: জীবনে উন্নতির চাবিকাঠি হতে পারে এই দিন

২৮ জুলাই, ২০২৫—শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সোমবার। শাস্ত্রমতে, শিবভক্তদের কাছে এই দিন অত্যন্ত পবিত্র ও ফলপ্রদ। দেবাদিদেব মহাদেবের কৃপা পাওয়ার এ এক অনন্য সুযোগ। যথাযথ ভক্তি ও শুদ্ধ নিয়মে যদি আজকের দিনে কিছু নির্দিষ্ট দ্রব্য দান করা যায়, তাহলে জীবনের বহু সমস্যা নিমেষে দূর হতে পারে বলে বিশ্বাস।—এই পুণ্যদিনে দানের মধ্য দিয়ে আত্মার শুদ্ধতা এবং ভবিষ্যতের স্থিতি নিশ্চিত করতে পারেন।

শিবের কৃপা পেতে দান করুন এই মহামূল্য দ্রব্যগুলি

শাস্ত্র অনুযায়ী, শ্রাবণের সোমবারে কিছু নির্দিষ্ট বস্তু দান করলে শুধু ঈশ্বরের কৃপাই নয়, মানসিক অশান্তি, কালসর্প দোষ, পিতৃদোষের মতো জটিল সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। বিশেষত সাদা রঙের বস্তু বা বসন, যা শিবের অত্যন্ত প্রিয়, দান করলেই বাড়ে শিবানুগৃহ।—শুধু শারীরিক নয়, মানসিক এবং জ্যোতিষ দৃষ্টিতেও লাভবান হন ভক্তরা।

ধর্মীয় দান—জীবনের মানসিক ভার লাঘবের সহজ পথ

এই দিনে ব্রাহ্মণ ও দরিদ্রদের দান করলে শুধু ধর্মীয় পুণ্যই নয়, জীবনে আসে এক অদৃশ্য প্রশান্তি। শাস্ত্র বলে, দানের সঙ্গে মিশে থাকে আত্মিক পরিতৃপ্তি। ব্রাহ্মণ, সাধু বা অনাথদের মধ্যে খাদ্য, বস্ত্র, বা অর্থ দান করলে জীবনে আসে স্থিতি ও শান্তি।—দান শুধু উপকার নয়, নিজের আত্মাকেও শুদ্ধ করার অন্যতম উপায়।

গঙ্গাজল ও পঞ্চামৃত—দান করুন পবিত্রতার প্রতীক

যাঁরা মন্দিরে গঙ্গাজল, পঞ্চামৃত বা তুলসীপাতা দান করেন, তাঁদের জীবনে আসে নির্মলতা। শিবের আরাধনায় এগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। এই বস্তুগুলি শিবলিঙ্গে নিবেদন করলে মানসিক ভার লাঘব হয়, এবং দাম্পত্য-সংসারও মজবুত হয়।—পবিত্র জল ও প্রসাদ—দুটিই মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির সূচক।

তামার পাত্র—শিবের প্রিয় ধাতুতে সুস্থতা ও দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ

তামার পাত্র দান করলে শিবের কৃপায় শরীর থাকে সুস্থ, মনও স্থির হয়। এই ধাতু শিবের প্রিয়, এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও এর ব্যবহার সর্বজনবিদিত। দান করলে দীর্ঘায়ু ও রোগমুক্তি নিশ্চিত হয় বলেই বিশ্বাস।—তামা শুধুই ধাতু নয়, এটি দেবতার সন্তুষ্টির এক প্রতীক।

ধুতরা ফুল ও বেলপাতা—ভক্তির শুদ্ধ উপাদান

শ্রাবণে শিবের পুজোয় ধুতরা ফুল ও বেলপাতা অপরিহার্য। এই দুটি উপাদান দান করলে জীবনের বিভিন্ন বাধা এবং গৃহশান্তির সমস্যা কেটে যায়। এমনকি, চাকরি, ব্যবসা বা সম্পর্ক—সব ক্ষেত্রেই আসে শুভ ফল।—এই দুটি উপাচার যেন শিব আরাধনার নিঃশর্ত চাবিকাঠি।

অন্ন, তিল ও ছাতু—দানেই পিতৃদোষ ও পারিবারিক অশান্তির অবসান

শ্রাবণের সোমবারে তিল, অন্ন ও ছাতু দান করলে পিতৃপুরুষদের শান্তি যেমন হয়, তেমনই জীবনে আসে পারিবারিক সুখ-শান্তি। শাস্ত্রমতে, এদের দানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সহজেই অনুকূল হয়ে ওঠে।—সংসারের মঙ্গল কামনায় এই দান অপরিহার্য বলে মানেন পণ্ডিতরা।

শিবের কৃপায় কাটবে গ্রহদোষ, মিলবে স্থায়ী সুখ-শান্তি

বিভিন্ন গ্রহের অশুভ প্রভাব যদি জীবনকে গ্রাস করে থাকে, তাহলে আজকের দিনে করা সঠিক দান সেই দোষ কেটে দিতে পারে। জীবনে আসবে স্থায়ী সুখ, সম্পর্কের সমাধান, ও ভবিষ্যতের দিশা।—যেখানে জ্যোতিষ হার মানে, সেখানে ভক্তি ও দানই হয় পথপ্রদর্শক।

শ্রাবণের দ্বিতীয় সোমবার—ভক্তি, দান ও নিয়মের সঠিক সংমিশ্রণেই বদলাবে ভাগ্য

এই বিশেষ দিনে নিয়ম মেনে শিবের আরাধনা ও দান করলে জীবনে অভাবের স্থানে আসে প্রাচুর্য, ভ্রান্তির জায়গায় আসে দিশা। একান্ত বিশ্বাস ও নিষ্ঠাই পারে আপনার জীবনের গতিপথ পাল্টে দিতে।—আজকের দিন বদলাতে পারে আপনার ভাগ্যের গতিপথ, শুধু চাই নিষ্ঠা আর সৎ দান।

Leave a comment