দিল্লি পুলিশ কুখ্যাত অপরাধী গুড্ডুকে শালিমার বাগ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য এনকাউন্টারের পর ধরেছে। এই সময় গুড্ডু পুলিশের উপর গুলি চালায়, কিন্তু পুলিশ তার পায়ে গুলি করে তাকে আহত করে ধরে ফেলে।
নয়াদিল্লি: দিল্লিতে গভীর রাতে পুলিশ কুখ্যাত অপরাধী গুড্ডুকে গ্রেপ্তার করেছে। শালিমার বাগ ধর্ষণ মামলায় সে ওয়ান্টেড ছিল এবং বেশ কয়েকটি গুরুতর ফৌজদারি মামলার আসামি। মুণক খালের কাছে পাতা ফাঁদে গুড্ডু আহত হয়, কিন্তু পুলিশ তাকে ধরতে সফল হয়। তার কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বেশ কয়েকটি অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
গুড্ডুর বিরুদ্ধে নথিভুক্ত গুরুতর ফৌজদারি মামলা
গুড্ডুর বিরুদ্ধে এর আগেও হত্যাচেষ্টা, ধর্ষণ ও লুটের মতো গুরুতর মামলা নথিভুক্ত ছিল। একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সে জামিনে বাইরে ছিল। তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত মামলাগুলির মধ্যে স্থানীয় এলাকায় ঘটে যাওয়া চুরি ও ঝগড়াসহ কয়েক ডজন ফৌজদারি অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট ২০২৫-এ শালিমার বাগ থানায় দায়ের করা মামলার পর থেকে গুড্ডুকে ক্রমাগত খোঁজা হচ্ছিল। তার গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য স্থানীয় পুলিশ এবং স্পেশাল স্টাফ উভয়ই সতর্ক ছিল। গুড্ডুর নাম অনেক মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল, যে কারণে গ্রেপ্তারের জন্য দল বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেছিল।
এনকাউন্টারের জন্য স্পেশাল স্টাফের দল
এনকাউন্টারের জন্য নর্থ ওয়েস্ট স্পেশাল স্টাফের একটি দল গঠন করা হয়। ইনস্পেক্টর সোমবীর সিংয়ের নেতৃত্বে দলটি মুণক খালের কাছে সিএ ব্লকের বস্তিগুলির কাছে ফাঁদ পাতে। দলে এসিপি অপারেশন রণজিৎ ঢাকা এবং হেড কনস্টেবল সত্য নরেন্দ্রও ছিলেন।
ফাঁদ পাতার উদ্দেশ্য ছিল সন্দেহভাজন ব্যক্তির পথ আটকে তাকে ধরা। গভীর রাতে প্রায় ১:০০টায় পুলিশ সন্দেহভাজনকে দেখে এবং তাকে গুড্ডু হিসাবে শনাক্ত করে। এই সময় গুড্ডু পালানোর চেষ্টা করে, যার ফলে দলটি তাকে সতর্ক করে এবং এনকাউন্টারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
গুড্ডুর গ্রেপ্তার
পালানোর সময় গুড্ডু পুলিশের উপর গুলি চালায়। হেড কনস্টেবল নারসি রামের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট তার জীবন বাঁচায়। পুলিশ দ্রুত পাল্টা পদক্ষেপ নেয় এবং হেড কনস্টেবল সত্য নরেন্দ্র গুড্ডুর পায়ে গুলি করে তাকে ভূপাতিত করেন।
এরপর গুড্ডুকে ধরে বাবু জগজীবন রাম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় এবং তার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা বাড়ায় এবং আশেপাশের এলাকা সিল করে দেয়।
গুড্ডুর কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার
গুড্ডুর কাছ থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, একটি তাজা কার্তুজ এবং একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে এই অস্ত্রটি গুড্ডুর অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হতে পারত। উদ্ধার করা সরঞ্জামগুলি পুলিশের পরবর্তী তদন্তে সহায়তা করবে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুড্ডু শালিমার বাগ ধর্ষণ মামলা এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ সাধারণ জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে, গুড্ডু বা তার সঙ্গীদের সম্পর্কে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে অবিলম্বে পুলিশকে জানান। এটি ভবিষ্যতে অপরাধ দমনে সহায়তা করবে।