শারদীয় नवरात्रि ২০২৫ সারা দেশে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পালিত হবে। এই ৯ দিনের উৎসবে নবদুর্গার পূজার সময় ভক্তরা বিশেষ রঙের পোশাক পরেন। প্রতিটি দিনের রঙ দেবীর রূপ এবং গুণের সাথে যুক্ত, যাfrom blessing and prosperity নিয়ে আসে।
নবদুর্গার ৯টি রঙ: এই বছর শারদীয় नवरात्रि ২০২৫ সারা ভারতে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত উৎসাহ ও শ্রদ্ধার সাথে পালিত হচ্ছে। এই উৎসবে ভক্তরা দেবী দুর্গার ৯টি রূপ, নবদুর্গার পূজা করেন এবং প্রতিদিন বিশেষ রঙের পোশাক পরেন। এই প্রথা অনুসারে, লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, ধূসর, গোলাপী এবং ময়ূর-সবুজ ইত্যাদি রঙ পরে দেবীর কৃপা ও আশীর্বাদ লাভের বিশ্বাস রয়েছে। এই উৎসব ধর্মীয় বিশ্বাস ও সামাজিক মেলবন্ধনেরও সুযোগ করে দেয়।
নবদুর্গার ৯ দিন এবং তাদের শুভ রং
প্রথম দিন মা शैलপুত্রীকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে লাল বা সাদা রঙের পোশাক পরা অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়। দ্বিতীয় দিন মা ব্রহ্মচারিণীর পূজা করা হয় এবং এই উপলক্ষে রাজকীয় নীল রঙ পরা শুভ। তৃতীয় দিন মা চন্দ্রমঘন্টার আরাধনা করা হয় এবং হলুদ রঙের পোশাক পরা সুখ ও ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। চতুর্থ দিন মা কুष्माণ্ডার পূজা করা হয় এবং রাজকীয় নীল রঙ পরা দেবীকে प्रसन्न করার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।
পঞ্চম দিন মা স্কন্দমাতার আরাধনা করা হয়। এই দিনে হলুদ রঙ পরা সমৃদ্ধি ও সুখের প্রতীক। ষষ্ঠ দিন মা কাত্যায়নীর পূজা করা হয় এবং সবুজ রঙ পরা নতুন সূচনা ও বিকাশের প্রতীক বলে মনে করা হয়। সপ্তম দিন মা কালরাত্রির পূজা করা হয় এবং ধূসর রঙ পরা ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। অষ্টম দিন মা মহাগৌরীর আরাধনা করা হয় এবং গোলাপী রঙ পরা প্রেম ও করুণার প্রতীক বলে মনে করা হয়। নবম বা শেষ দিনে মা সিদ্ধিদাত্রীর পূজা করা হয়। ময়ূর-সবুজ বা বেগুনি রঙ পরা আধ্যাত্মিকতা ও সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়।
নবদুর্গার রঙের তাৎপর্য
প্রতিটি রঙের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে। লাল রঙ শক্তি ও উত্তেজনার প্রতীক, হলুদ রঙ সুখ ও সমৃদ্ধি নির্দেশ করে, নীল রঙ স্থিতিশীলতা ও মানসিক শান্তির ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে সবুজ রঙ বিকাশ ও নতুন সূচনার প্রতীক। গোলাপী রঙ প্রেম ও করুণা বৃদ্ধি করে এবং বেগুনি বা ময়ূর-সবুজ রঙ আধ্যাত্মিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে চালিত করে। নবদুর্গার সময় এই রঙগুলি অনুসরণ করলে পূজা ও উৎসব উভয়ই ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি অনুসারে সম্পন্ন হয়।
ভক্তরা এই ৯ দিন নির্ধারিত রঙের পোশাক পরে নবদুর্গার আরাধনা করেন, পূজা করেন এবং তাদের বাড়ি ও কর্মস্থল সাজান। নবদুর্গার এই উৎসব কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসকেই দৃঢ় করে না, বরং সম্মিলিত উৎসব ও সামাজিক মেলবন্ধনেরও সুযোগ করে দেয়। এই বছরের নবদুর্গার উৎসবে সঠিক রঙের নির্বাচন করে দেবী দুর্গার কৃপা ও আশীর্বাদ লাভের ঐতিহ্যকে সজীব রাখা উচিত।