অবৈধ বেটিং অ্যাপ মামলায় শিখর ধাওয়ানকে ৮ ঘণ্টা জেরা করল ইডি

অবৈধ বেটিং অ্যাপ মামলায় শিখর ধাওয়ানকে ৮ ঘণ্টা জেরা করল ইডি

প্রাক্তন ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানকে অবৈধ বেটিং অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচার মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বৃহস্পতিবার প্রায় আট ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ধাওয়ান সকাল প্রায় ১১টায় মধ্য দিল্লির ইডি অফিসে পৌঁছেছিলেন এবং দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যা ৭টার পর বেরিয়ে যান।

স্পোর্টস নিউজ: ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ওপেনিং ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান বর্তমানে একটি বড় তদন্তের আওতায় এসেছেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে অবৈধ অনলাইন বেটিং অ্যাপ '‘13Bet’' এর সাথে যুক্ত অর্থ পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। বৃহস্পতিবার ধাওয়ানকে দিল্লি স্থিত ইডি অফিসে ডাকা হয়েছিল, যেখানে তাকে প্রায় আট ঘন্টা ধরে প্রশ্ন করা হয়।

শিখর ধাওয়ানের জিজ্ঞাসাবাদ চলেছিল সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত

সূত্রমতে, শিখর ধাওয়ান সকাল প্রায় ১১টায় ইডির দপ্তরে পৌঁছান এবং সন্ধ্যা ৭টার পর বেরিয়ে যান। এই সময়ে কর্মকর্তারা কথিত বিজ্ঞাপন ও প্রচারমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে এই অ্যাপের সাথে তার সম্পর্ক বোঝার চেষ্টা করেন। মনে করা হচ্ছে, ধাওয়ান সরাসরি কোনো ধরণের বেটিং-এ অংশ নেননি, বরং তিনি শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।

এর আগে এই মামলায় প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়নাকেও ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে যে '‘13Bet’' সহ অনেক অবৈধ বেটিং প্ল্যাটফর্ম ভারতে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি, কর ফাঁকি এবং অর্থ পাচারের সাথে জড়িত।

13Bet অ্যাপ কী?

'‘13Bet’' একটি অনলাইন বেটিং এবং ক্যাসিনো প্ল্যাটফর্ম, যার সদর দপ্তর সাইপ্রাসে অবস্থিত। এটি ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, বাস্কেটবল এবং ই-স্পোর্টসের মতো খেলাগুলিতে বাজি ধরার সুবিধা দেয়। এছাড়া, এটি এভিয়েটর গেম এবং ক্যাসিনো স্লটের মতো বিকল্পও প্রদান করে। প্ল্যাটফর্মের পরিষেবাগুলি প্রধানত টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

কোম্পানিটি এর আগে স্পেন এবং ফ্রান্সের ফুটবল দলগুলিকে স্পনসর করার জন্যও পরিচিত ছিল। যদিও, আর্থিক অনিয়মের কারণে ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়া, স্পেন এবং ফ্রান্সের মতো দেশগুলি এর পরিষেবাগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ভারতে অনলাইন বেটিং একটি দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেত্র। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন যে দেশে এই ধরণের অ্যাপের প্রায় ২২ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক নিয়মিতভাবে সক্রিয় থাকে।

বাজারের আনুমানিক আকার ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং এটি বার্ষিক ৩০% হারে বাড়ছে। সরকার সম্প্রতি এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। নতুন আইন অনুসারে অর্থ-সম্পর্কিত অনলাইন গেমিং এবং বেটিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবুও, অনেক বিদেশী কোম্পানি এখনও ভারতে পরোক্ষভাবে সক্রিয় রয়েছে।

Leave a comment