কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী शिवराज সিং চৌহান প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্মদিনে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাঁর প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে ১৯৯২-৯৩ সালের 'একতা যাত্রা' চলাকালীন লালচকে তেরঙা উত্তোলনে মোদীর জেদ এবং নেতৃত্ব ছিল এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
নতুন দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ তাঁর ৭৫তম জন্মদিন পালন করছেন। এই উপলক্ষ্যে সারা দেশ থেকে তাঁকে অভিনন্দন বার্তা আসছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী शिवराज সিং চৌহানও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং তাঁর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের একটি আকর্ষণীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন।
প্রথম সাক্ষাৎ: ১৯৯২-৯৩ সালের যাত্রা
শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন যে তিনি এবং নরেন্দ্র মোদী প্রথম সাক্ষাৎ করেছিলেন ১৯৯২-৯৩ সালে। সেই সময় বিজেপি কন্যাকুমারী থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত 'একতা যাত্রা' বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডঃ মুরলি মনোহর যোশী এবং পুরো যাত্রার দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর উপর।
শিবরাজ সিং বলেছিলেন যে এই যাত্রা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা ও সাংগঠনিক দিক থেকেও চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল দেশজুড়ে জাতীয় ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া এবং দলের কর্মীদের একত্রিত করা।
লালচকে তেরঙা উত্তোলনের চ্যালেঞ্জ
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী জানিয়েছেন যে সেই সময় কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ প্রবল ছিল। লালচকে তেরঙা উত্তোলন প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার দক্ষতার কারণে ডঃ মুরলি মনোহর যোশী ২৬ জানুয়ারী লালচকে তেরঙা উত্তোলন করেছিলেন।
শিবরাজ সিং বলেছিলেন, "আমিও সেই যাত্রার অংশ ছিলাম এবং প্রথমবার আমি মোদীজিকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম। তাঁর মধ্যে একটি জেদ, আবেগ এবং উদ্যম ছিল যে লালচকে অবশ্যই তেরঙা উড়তে হবে।" এই স্মৃতি তাঁর নেতৃত্ব গুণ এবং প্রতিকূলতার মুখে ধৈর্য্যের প্রতীক।
কর্মীদের হতাশা
শিবরাজ সিং আরও জানান যে নিরাপত্তার কারণে সাধারণ কর্মীদের লালচক পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। এতে হাজার হাজার কর্মী হতাশ ও ক্রুদ্ধ ছিলেন। এই পরিস্থিতি নরেন্দ্র মোদীর জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিল।
তিনি বলেন, "আমি প্রথমবার দেখেছিলাম যে কঠোর শৃঙ্খলা ও দৃঢ় সংকল্পের অধিকারী মোদীজি কতটা সংবেদনশীল মানুষ। তিনি সারারাত ঘুমাননি এবং বসে বসে কেঁদেছিলেন। তাঁর ভেতরের কষ্ট ও বেদনা ছিল এই যে তাঁর সহকর্মী কর্মীরা লালচকে তেরঙা উত্তোলনের সাক্ষী হতে পারেননি।"