আরএলপি সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল এসআই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পরে আইন মন্ত্রী যোগারাম প্যাটেলের বক্তব্যের উপর তীব্র আক্রমণ করেছেন। বেনিওয়াল বলেছেন যে রাজস্থানের জনগণ যোগারাম প্যাটেলের মতো নেতাদের গ্রহণ করবে না।
জয়পুর: রাজস্থানের রাজনীতিতে আরএলপি সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল প্রায়শই তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে শিরোনামে থাকেন। সম্প্রতি তিনি এসআই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রী যোগারাম প্যাটেলের বক্তব্যের উপর তীব্র আক্রমণ করেছেন। বেনিওয়াল বলেছেন যে কিছু সময়ের মধ্যেই মানুষ যোগারাম প্যাটেলকে জুতো মারবে এবং তাঁর কাপড় ছেঁড়ার খবরও সামনে আসবে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে যদি আজ নির্বাচন হয়, তবে যোগারাম ১০,০০০ ভোটও পাবেন না।
বেনিওয়ালের এই বক্তব্যে রাজস্থানের রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর তীক্ষ্ণ শব্দে বিজেপি এবং সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং আসন্ন নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
এসআই নিয়োগে হাইকোর্টের আদেশ এবং যোগারামের বক্তব্য
রাজস্থান হাইকোর্ট সম্প্রতি এসআই নিয়োগ-২০২১ পরীক্ষা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর আইন মন্ত্রী যোগারাম প্যাটেল যোধপুরে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে আদালত নিয়োগ বাতিল করেনি, বরং তাদের পর্যবেক্ষণ সরকারকে পাঠিয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে সকল প্রভাবিত প্রার্থীরা ডিভিশন বেঞ্চে তাঁদের আপত্তি জানাতে পারেন।
প্যাটেল আরও স্পষ্ট করেছেন যে ১০৫১টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর পরেও হনুমান বেনিওয়াল মন্ত্রীর বক্তব্যকে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছেন।
বেনিওয়াল যোগারামের উপর নিশানা
বেনিওয়াল বলেছেন যে রাজস্থানের জনগণ যোগারাম প্যাটেলের মতো নেতাদের আর দেখতে চায় না। তিনি সতর্ক করেছিলেন যে আগামী সময়ে যোগারামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হতে পারে।
আরএলপি সাংসদ মনে করিয়ে দিয়েছেন যে এর আগে তিনি যোগারাম প্যাটেলকে 'নাজোগারাম'ও বলেছিলেন। তিনি আরও দাবি করেছেন যে যদি নির্বাচন এখনই হতো, তবে যোগারাম প্যাটেলের জন্য জয়ী হওয়া কঠিন হতো। তাঁর এই বক্তব্যকে সরাসরি রাজ্য সরকার এবং বিজেপি নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টির একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এসআই নিয়োগ বাতিল মামলায় প্রশাসন এবং সরকারের পদক্ষেপ
এসআই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হওয়ার ঘটনায় রাজস্থান সরকার এবং আইন বিভাগ হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে। যোগারাম প্যাটেল স্পষ্ট করেছেন যে সকল প্রভাবিত প্রার্থীরা তাঁদের আবেদন ডিভিশন বেঞ্চে দাখিল করতে পারেন।
তবে, হনুমান বেনিওয়ালের বক্তব্যকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সরকারকে চাপ দেওয়ার একটি উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর পরে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে এবং সকল দলের নজর আসন্ন নির্বাচনের উপর রয়েছে।