মধ্যপ্রদেশের পরসওয়াদাতে ৬০ বছর বয়সী বলবন্ত চৌধুরীকে তাঁর ছেলে পা দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করে। চিকিৎসার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্ত করে তদন্ত শুরু করেছে, যখন ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
পরসওয়াদা: মধ্যপ্রদেশের পরসওয়াদা এলাকার কোরজা চার্টোলা গ্রাম থেকে একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক ছেলে তার নিজের ৬০ বছর বয়সী বাবা বলবন্ত চৌধুরীকে পা দিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করে। মারধরের পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসার সময় বলবন্ত মারা যান।
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে, দৃশ্যগুলি এতটাই ভয়ঙ্কর এবং বেদনাদায়ক যে এটি জনসমক্ষে দেখানো সম্ভব নয়। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে বৃদ্ধের পা বেঁধে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। বলবন্তের ভাই সাহেবলাল চৌধুরী, ছেলে, ছেলের বউ এবং স্ত্রী-র বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছেন। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্ত করিয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মারধরে আহত বলবন্তের মৃত্যু
তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনাটি ১৮ই আগস্ট, ২০২৫ সালে ঘটে। মারধরের সময় বলবন্তের চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। বলবন্তকে গুরুতর অবস্থায় পরসওয়াদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।
চিকিৎসা পরিস্থিতির গুরুতরতা বিবেচনা করে তাঁকে জেলা হাসপাতাল এবং তারপর গোণ্ডিয়াতে রেফার করা হয়। সমস্ত চিকিৎসা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, চিকিৎসার সময় বলবন্ত চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা পুরো গ্রামে গভীর উদ্বেগ ও শোকের পরিবেশ তৈরি করেছে।
বলবন্তের মৃত্যুর পর পরিবারে বিবাদ
বলবন্ত চৌধুরীর মৃত্যুর পর পরিবারেই দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে। মৃতের ভাই সাহেবলালের মতে, ছেলে, ছেলের বউ এবং স্ত্রী মিলে বলবন্তকে খুন করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা আপাতত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। তাঁদের মতে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং ফরেনসিক তদন্তের পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সময়ে, গ্রামবাসী এবং পরিবারে উত্তেজনার পরিবেশ বিরাজ করছে।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকে খুলবে বলবন্তের মৃত্যুর রহস্য
এই চাঞ্চল্যকর মামলায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, বলবন্তের মৃত্যু কি সরাসরি মারধরের ফল ছিল নাকি অন্য কোনো কারণ জড়িত ছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্টই এই রহস্যের পর্দা উন্মোচন করবে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে ছেলে, ছেলের বউ এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হবে নাকি অন্য কোনো ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত পুলিশ তদন্ত এবং প্রমাণ সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত রয়েছে।