Arrest Sonagachi: উত্তর কলকাতার সোনাগাছি এবং বড়তলা থানা এলাকার বসতি অঞ্চলে মানবপাচার ও যৌনপল্লি সংক্রান্ত একটি বড় পুলিশি অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাতের অভিযানে ৯ জন নাবালিকাসহ ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে ধৃত হয়েছে বাড়ির মালিক অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী সরস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায়সহ মোট ছ’জন। উদ্ধারকৃত নাবালিকারা রাজ্যের বাসিন্দা এবং বর্তমানে নিরাপদে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার, জোরপূর্বক আটক, দেহব্যবসা ও অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
অভিযান ও উদ্ধার
কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ একটি এনজিওর সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ৯ নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বাড়ির মালিক দম্পতি এবং আরও চারজন সন্দেহভাজন পাচারকারী।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে উপস্থিত সকল নাবালিকাকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে এবং তাদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
চক্র ও কর্মকাণ্ড
বড়তলা থানা এলাকার ৪/এ গুলু ওস্তাগর লেনে এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে দেহব্যবসা এবং মানবপাচার পরিচালনা করছিল। স্থানীয়দের দাবী, এখানে মেয়েদের আগমন ও অদৃশ্য হওয়া নিয়মিত ঘটনা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ফোন সেক্স, স্পা, ট্যুরিজ়ম ও স্পেশাল এসকর্ট সার্ভিসের আড়ালে কমার্শিয়াল এক্সপ্লয়টেশন চালাত।
আইনি ব্যবস্থা
গ্রেপ্তার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাবালিকাদের বিরুদ্ধে সমস্ত পদক্ষেপ আইন অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সিডব্লিউসি বা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিও উদ্ধারকৃত নাবালিকাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।
প্রশ্ন ওঠা শুরু
এই দীর্ঘদিন ধরে চলা চক্র কিভাবে নজরে আসে নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের বক্তব্য, তারা ঘটনার সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশে সীমাবদ্ধ। তবে স্থানীয় এবং মানবাধিকার সূত্রে অভিযোগ রয়েছে, নেপথ্যে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সংযোগ থাকতে পারে।
উত্তর কলকাতার সোনাগাছি এলাকায় পুলিশ ও এনজিও যৌথ অভিযানে ৯ নাবালিকা উদ্ধার করেছে। অভিযানে ধরা পড়েছে ৬ জন, যার মধ্যে রয়েছে বাড়ির মালিক দম্পতি। উদ্ধারকৃত নাবালিকারা বর্তমানে নিরাপদে রয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে যৌনপল্লি ও মানবপাচার চালাচ্ছিল।