শনিদেব, যাঁকে ন্যায়ের দেবতা বলা হয়, মকর ও কুম্ভ রাশির অধিপতি। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী আরও একটি রাশি রয়েছে যার উপর তাঁর বিশেষ কৃপা বজায় থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের নাম ‘রা’, ‘রী’, ‘রু’, ‘রে’ এই ধরণের বর্ণ দিয়ে শুরু হয়, তারা এই বিশেষ কৃপার অধিকারী। এ ধরণের জাতকদের জীবনে শনির ইতিবাচক শক্তির সুফল লাভ হয়, যার ফলে কঠিন পরিস্থিতিতেও তারা সফলতা ও ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
তুলা রাশির সাথে সম্পর্ক
যাদের নাম রা, রী, রু, রে, রো, তা, তী, তু, তে এই বর্ণগুলি দিয়ে শুরু হয়, তাদের জ্যোতিষীয় গণনার ভিত্তিতে তুলা রাশির জাতক বলে মনে করা হয়। এই রাশির অধিপতি শুক্র গ্রহ, যিনি বিলাসিতা, সৌন্দর্য ও ভৌতিক সুখ-সুবিধার প্রতীক। মনে করা হয়, তুলা রাশির জাতকরা বিলাসবহুল জীবনযাপনের শখীন এবং জীবনকে উদারভাবে জীবনযাপনে বিশ্বাসী।
এই জাতকরা পরিশ্রমী হয় এবং নিজেদের উপার্জন উদারভাবে ব্যয় করে। তাদের জীবনে সৃজনশীলতা, ভারসাম্য ও আনন্দের বিশেষ স্থান থাকে, যা তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে।
বন্ধুত্বের ভাব
যাদের নাম রা, রী, রু, রে, রো, তা, তী, তু, তে এই বর্ণগুলি দিয়ে শুরু হয়, তাদের ব্যক্তিত্ব কেবলমাত্র প্রভাবশালীই নয়, তারা স্বভাবতই অত্যন্ত পারিবারিক। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই বর্ণগুলি তুলা রাশির সাথে সম্পর্কিত, যার অধিপতি শুক্র গ্রহ। শুক্র ও শনির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বলে ধরা হয় এবং এই কারণেই এই রাশির জাতকদের উপর শনিদেবের বিশেষ কৃপা বজায় থাকে।
বিশ্বাস করা হয় যে, এ ধরণের মানুষের কোনও ক্ষতি সহজে করা যায় না, কারণ শনির ইতিবাচক শক্তি তাদের প্রত্যেক সংকট থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই গ্রহ সম্পর্ক কেবল তাদের জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখে না, বরং তাদের আত্মবিশ্বাস ও স্থিরতাও প্রদান করে।
শনির সাড়েসাতি
যাদের উপর শনির সাড়েসাতির প্রভাব পড়ে এবং যাদের নাম রা, রী, রু, রে, রো, তা, তী, তু, তে এই বর্ণগুলি দিয়ে শুরু হয়, তাদের জন্য স্বস্তির সংবাদ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই জাতকদের উপর শনির সাড়েসাতির প্রভাব কম থাকে। শনির সাড়েসাতি সাধারণত জীবনে কঠিন সময় ও অস্থিরতার কারণ হয়, কিন্তু তুলা রাশির জাতকদের উপর এর প্রভাব হালকা থাকে।
এর প্রধান কারণ হল শনি ও শুক্র গ্রহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মজবুত বন্ধন। এই গ্রহ সম্পর্কের ফলে এই জাতকদের শনির সাড়েসাতির সময়ও কম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং তারা কঠিন সময় অতিক্রম করতে সক্ষম হয়।