সোনিপথের পিপলি গ্রামে সোশ্যাল মিডিয়ার বিবাদ হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। মদ মাফিয়া ভূপেন্দ্র দাহিয়া প্রাক্তন সরপঞ্চ রামনিবাসের বাড়িতে গুলি চালিয়েছে, যাতে নবীন নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
সোনিপথ: হরিয়ানার সোনিপথ জেলার পিপলি গ্রামে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হওয়া বিবাদ হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। মদ মাফিয়া ভূপেন্দ্র দাহিয়া প্রাক্তন সরপঞ্চ রামনিবাস ওরফে গাব্বারের বাসভবনে গুলি চালিয়েছে, যাতে নবীন নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তির চিকিৎসা রোহতক পিজিআই-তে চলছে।
সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্ত ভূপেন্দ্র দাহিয়া এবং তার সঙ্গীদের দাপট ধরা পড়েছে। পুলিশ ঘটনাটির গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে এবং উভয় পক্ষের পুরোনো বিবাদকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া বিবাদ নিল হিংসাত্মক রূপ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রামনিবাস এবং ভূপেন্দ্র দাহিয়ার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাদ হয়েছিল। রামনিবাস মদের দোকানের পরিচালনা এবং অন্যান্য কার্যকলাপ নিয়ে ভূপেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন।
প্রাথমিক অনলাইন বিবাদ দ্রুত হিংসাত্মক সংঘর্ষের রূপ ধারণ করে। ভূপেন্দ্রের ভাই এবং তার বেশ কয়েকজন সঙ্গী মিলে প্রথমে রামনিবাসের ওপর হামলা চালায়। তবে রামনিবাস নিজের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন এবং আমেরিকায় পালিয়ে যান। পরে আমেরিকা থেকে প্রত্যাবর্তিত হওয়ার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
ভূপেন্দ্র দাহিয়ার হামলায় যুবক আহত

আজ সকালে ভূপেন্দ্র দাহিয়া এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা রামনিবাসের বাড়িতে হামলা চালায়। রামনিবাস সেখানে উপস্থিত ছিলেন না, তবে বাড়িতে উপস্থিত নবীন নামের যুবকের ওপর গুলি চালানো হয়। আহত ব্যক্তির চিকিৎসা রোহতক পিজিআই-তে চলছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে যে অভিযুক্তের দাপট এবং অস্ত্রের ব্যবহার কোনো সাধারণ ঝগড়ার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর ছিল। পুলিশ ঘটনাটির সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে এবং জানিয়েছে যে দ্রুতই সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।
মদ বিবাদে প্রাক্তন সরপঞ্চের সাথে ঝগড়া
ভূপেন্দ্র দাহিয়া লকডাউনের সময় খরখোদা থানার মালখানা থেকে কোটি কোটি টাকার মদ বিক্রির সাথে জড়িত ছিল। পিপলিতে অবস্থিত মদের দোকানের ইজারা জিতে সেটি কেনার পর, প্রাক্তন সরপঞ্চ রামনিবাস ভূপেন্দ্রকে বিরক্ত করা শুরু করেন।
এই ঝগড়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে আগেও একাধিক সংঘর্ষ হয়েছিল। রামনিবাসের ওপর আগেও হামলা হয়েছিল এবং এই বিষয়টি পুলিশের নজরদারিতে ছিল। জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর উভয় পক্ষের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাদ আরও বাড়ে, যা শেষ পর্যন্ত হিংসাত্মক গুলিবর্ষণে রূপান্তরিত হয়।
পুলিশি তদন্ত শুরু
এসিপি রাজপাল জানিয়েছেন যে উভয় পক্ষের পুরোনো বিবাদ এবং সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়ার ঝগড়ার গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ সমস্ত দিক বিবেচনায় রেখে ঘটনাটির তদন্ত করছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিবাদ থামাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। একই সাথে অভিযুক্ত এবং তাদের সঙ্গীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।













