শিখ ধর্মীয় তখত শ্রী পাটনা সাহেব সুখবীর বাদলকে ধর্মীয় সমনের অবহেলা এবং শিখ মর্যাদার লঙ্ঘনের কারণে 'তনখাইয়া' ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত শিখ রাজনীতিতে গুরুতর বিতর্কের কারণ হতে পারে।
পাঞ্জাব: শিরোমণি আকালি দল (SAD)-এর সভাপতি সুখবীর সিং বাদলকে তখত শ্রী হরিমন্দির জি পাটনা সাহেব 'তনখাইয়া' ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত তাঁর দ্বারা তখতের সমনকে দু'বার অগ্রাহ্য করা এবং ধর্মীয় বিষয়ে কথিত হস্তক্ষেপের অভিযোগের কারণে নেওয়া হয়েছে। 'তনখাইয়া' শব্দটি শিখ ধর্মে সেই ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হয় যিনি ধর্মীয় মর্যাদা লঙ্ঘন করেছেন।
দু'বার ডাকা সত্ত্বেও উপস্থিত হননি
তখত পাটনা সাহেবের তরফে সুখবীর বাদলকে একটি বিশেষ ধর্মীয় বিষয়ে দু'বার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু দু'বারই তিনি হাজির হননি। এরপর শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (SGPC)-এর সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামীর অনুরোধে তখত তাঁকে অতিরিক্ত ২০ দিনের সময় দেয়। তা সত্ত্বেও, সুখবীর বাদল তখতের সামনে উপস্থিত হননি।
ধর্মীয় কমিটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিল
এই ঘটনাগুলি বিবেচনা করে তখত পাটনা সাহেবের ধর্মীয় কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয় যে সুখবীর সিং বাদল শিখ ধর্মীয় মর্যাদা লঙ্ঘন করেছেন। সেই কারণে তাঁকে 'তনখাইয়া' ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে শিখ ধর্মের ঐতিহ্য এবং অনুশাসনের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
'তনখাইয়া' কী?
শিখ ধর্মে 'তনখাইয়া' সেই ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি ধর্মীয় মর্যাদা এবং তখতের আদেশ অমান্য করেন। এই ধরনের ব্যক্তিকে তখতের সামনে হাজির হয়ে ক্ষমা চাইতে হয় এবং তখত কর্তৃক নির্ধারিত 'সেবা' করতে হয়। তবেই তাঁকে পুনরায় ধর্মীয় সম্প্রদায়ে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করা হয়।
শিখ রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক
সুখবীর বাদল শুধু SAD-এর প্রধান নন, শিখ রাজনীতিতেও একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর 'তনখাইয়া' ঘোষিত হওয়া রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় উভয় ক্ষেত্রেই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনা শিরোমণি আকালি দলের ভাবমূর্তি এবং শিখ ধর্মীয় সংস্থাগুলির পারস্পরিক সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
SGPC অর্থাৎ শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির ভূমিকা নিয়েও এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। SGPC তখতের কাছে সুখবীর বাদলকে সময় দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল, কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট সময়েও হাজির হননি। এই বিষয়টি শিখ ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।