সুন্দরবনের জঙ্গল বরাবরই পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু বারবার অভিযোগ উঠেছে অনুমতির কালোবাজারি, অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য এবং পরিবেশের ক্ষতির। এই সমস্যার সমাধান করতে এবার বনদফতর ও ব্যাঘ্রপ্রকল্পের তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
পুজোতেই সুন্দরবনে ভিড় বাড়বে
পুজোর পর থেকেই শীতকাল পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল নামে। কিন্তু অনেকে সময়মতো অনুমতি না পেয়ে জঙ্গল সাফারির সুযোগ হারান। কালোবাজারি ও অনুমতির জটিলতা দূর করতে এবার নতুন ব্যবস্থা চালু করল কর্তৃপক্ষ।
অনলাইন অনুমতিপত্রে কড়াকড়ি
ব্যাঘ্রপ্রকল্পের নির্দেশ অনুযায়ী, আর কোনওভাবেই পর্যটকশূন্য লঞ্চ বা বোটের জন্য অনুমতিপত্র দেওয়া হবে না। লঞ্চ মালিকদের নির্দিষ্ট ওটিপি মারফত পর্যটকদের তথ্য যাচাই করেই অনুমতি কার্যকর হবে। এর ফলে ভুয়ো পারমিশন রোধ করা সম্ভব হবে।
কালোবাজারি রুখতে বিশেষ নজরদারি
অভিযোগ ছিল, একসঙ্গে ১০-১২টি লঞ্চের অনুমতি ব্লক করে রাখছিলেন অসাধু ব্যবসায়ী ও কিছু সাইবার ক্যাফে মালিক। এবার থেকে এই প্রক্রিয়া বন্ধ হবে। নির্দিষ্ট পর্যটক ছাড়া অন্য কারও নামে অনুমতি নেওয়া যাবে না।
পরিচয়পত্র জমা বাধ্যতামূলক
জঙ্গলে ঢোকার আগে অনুমতিপত্রের সঙ্গে পর্যটকদের নাম ও পরিচয়পত্র জমা করতে হবে। অনলাইনে যে পরিচয়পত্র আপলোড করা হয়েছিল, তা অফিসে যাচাইয়ের পরেই অনুমতি মিলবে। এই নিয়মে প্রতারণার সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
লঞ্চ মালিকদের জন্য শাস্তির বিধান
অসৎ উপায়ে অনুমতি নিলে লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একাধিকবার অভিযোগ প্রমাণিত হলে এক মাসের জন্য লঞ্চের সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। এতে ভ্রমণকারীদের স্বচ্ছ পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
পুজোর মরশুমে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। এ সময় অনুমতির কালোবাজারি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাঘ্রপ্রকল্প ও বনদফতর। এবার থেকে অনুমতিপত্র পেতে হলে নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে লঞ্চ ও বোট মালিকদের।