টাটা ক্যাপিটালের সবচেয়ে বড় আইপিও আসছে: ১৬,৪০০ কোটি টাকার ইস্যু ৬ অক্টোবর থেকে

টাটা ক্যাপিটালের সবচেয়ে বড় আইপিও আসছে: ১৬,৪০০ কোটি টাকার ইস্যু ৬ অক্টোবর থেকে
সর্বশেষ আপডেট: 2 ঘণ্টা আগে

টাটা গ্রুপ ৬ অক্টোবর থেকে তাদের এনবিএফসি কোম্পানি টাটা ক্যাপিটালের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আইপিও চালু করতে চলেছে। ১৬,৪০০ কোটি টাকার এই ইস্যুটির মাধ্যমে কোম্পানির মূল্যায়ন ১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকার বেশি অনুমান করা হয়েছে। আইপিওতে নতুন ইস্যু এবং ওএফএস উভয়ই অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাবস্ক্রিপশন খোলা থাকবে।

Tata Capital IPO: টাটা গ্রুপ এই দিওয়ালিতে বিনিয়োগকারীদের একটি বড় উপহার দিতে চলেছে। গোষ্ঠীর এনবিএফসি কোম্পানি টাটা ক্যাপিটালের মেগা আইপিও ৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে খুলবে এবং ৮ অক্টোবর বন্ধ হবে। কোম্পানি সেবিতে রেড হেরিং প্রসপেক্টাস দাখিল করেছে। প্রায় ১৬,৪০০ কোটি টাকার এই আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানির মূল্যায়ন ১৬.৫ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে। এতে ২১ কোটি নতুন শেয়ার এবং ২৬.৫৮ কোটি শেয়ারের ওএফএস অন্তর্ভুক্ত। এটি টাটা গ্রুপের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আইপিও হবে, যেখানে এলআইসি-র মতো বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে।

এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় টাটা গ্রুপ আইপিও

এই ইস্যুটি টাটা গ্রুপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আইপিও বলে মনে করা হচ্ছে। কোম্পানি ২৬ সেপ্টেম্বর সেবি এবং স্টক এক্সচেঞ্জগুলিতে রেড হেরিং প্রসপেক্টাস দাখিল করেছিল। নথিপত্র অনুসারে, এই আইপিওতে ২১০,০০০,০০০ নতুন শেয়ার জারি করা হবে এবং ২৬৫,৮২৪,২৮০ ইক্যুইটি শেয়ার অফার ফর সেলের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আইপিওর আকার এবং মূল্যায়ন

টাটা ক্যাপিটালের এই আইপিওর মোট আকার ১৬,৪০০ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ১.৮৫ বিলিয়ন ডলার বলে জানানো হয়েছে। কোম্পানির মূল্যায়ন প্রায় ১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা, অর্থাৎ ১৬.৫ বিলিয়ন ডলার অনুমান করা হয়েছে। এই ইস্যুটি কেবল টাটা গ্রুপ নয়, ভারতীয় বাজারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এলআইসি-র বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা

রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের বৃহত্তম বীমা কোম্পানি এলআইসি এই আইপিওতে বড় বিনিয়োগ করতে পারে। অন্যদিকে, টাটা সন্সের কাছে কোম্পানিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশীদারিত্ব ইতিমধ্যেই রয়েছে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক অর্থ নিগম আইএফসি এবং টাটা গ্রুপের অন্যান্য কোম্পানি যেমন টিএমএফ হোল্ডিংস লিমিটেড, টাটা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন, টাটা মোটরস, টাটা কেমিক্যালস এবং টাটা পাওয়ারও অংশীদার।

নিয়ম অনুযায়ী বাধ্যতামূলক তালিকাভুক্তি

রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, টাটা ক্যাপিটালের মতো বড় এনবিএফসি-কে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশীয় শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। তবে, কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে কিছুটা সময়সীমা পেয়েছে এবং এই কারণেই এখন এই আইপিওটি অক্টোবরে আসছে।

দীর্ঘদিন ধরে চলছিল প্রস্তুতি

এই মেগা ইস্যুটির প্রস্তুতি অনেক মাস ধরে চলছিল। ৫ এপ্রিল মানিকন্ট্রোলের রিপোর্টে জানানো হয়েছিল যে কোম্পানিটি ১৫,০০০ কোটি টাকার বেশি আইপিওর জন্য গোপন প্রি-ফাইলিং রুট ব্যবহার করে সেবিতে নথি দাখিল করেছিল। এর আগে ২১ মার্চ গণমাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছিল যে টাটা ক্যাপিটাল এই বড় আইপিওর জন্য ১০টি বিনিয়োগ ব্যাংককে উপদেষ্টা হিসাবে বেছে নিয়েছে।

কোন ব্যাংকগুলি দায়িত্ব পেল

আইপিও ব্যবস্থাপনার জন্য কোটাক মাহিন্দ্রা ক্যাপিটাল, সিটি, অ্যাক্সিস ক্যাপিটাল, জেপি মরগান, এইচএসবিসি সিকিউরিটিজ, আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ, আইআইএফএল ক্যাপিটাল, বিএনপি পরিবা, এসবিআই ক্যাপিটাল এবং এইচডিএফসি ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত সংস্থাগুলি ভারত এবং বিশ্বের বড় বিনিয়োগ ব্যাংকগুলির মধ্যে গণ্য হয় এবং তাদের অভিজ্ঞতা এই ইস্যুটিকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আইপিওর ঘোষণার পর বিনিয়োগকারীদের নজর এখন সম্পূর্ণভাবে টাটা ক্যাপিটালের উপর স্থির। কোম্পানির এই পদক্ষেপটি কেবল টাটা গ্রুপের জন্যই নয়, সমগ্র বাজারের জন্যও একটি বড় সুযোগ বলে মনে করা হচ্ছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ইস্যুটির মাধ্যমে এনবিএফসি খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও মজবুত হতে পারে।

Leave a comment