শিক্ষক নিয়োগে ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থী বিতর্ক: ব্রাত্য বসুর আক্রমণ, পাল্টা জবাব শমীক ভট্টাচার্যের

শিক্ষক নিয়োগে ভিন রাজ্যের পরীক্ষার্থী বিতর্ক: ব্রাত্য বসুর আক্রমণ, পাল্টা জবাব শমীক ভট্টাচার্যের

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ঘনীভূত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ তুলেছেন, ভিন রাজ্যের প্রার্থীদের মদত দিয়ে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার বাংলার বেকারদের বঞ্চিত করছে। তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, বাংলার যুবকদের কর্মসংস্থানের সংকট রাজ্যের দুর্বল শিল্পনীতির ফল, আর তাই ভিন রাজ্যের প্রার্থীরা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছেন।

ব্রাত্য বসুর অভিযোগ: ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের ভূমিকা

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সরাসরি কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর দাবি, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভিন রাজ্যের বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর উপস্থিতি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। এই ঘটনার নেপথ্যে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের প্রভাব কাজ করছে, যা বাংলার মেধাবী পরীক্ষার্থীদের বঞ্চিত করছে।

শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা জবাব

অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য, বাংলার শিল্পনীতি দুর্বল হওয়ায় এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। তাই শিক্ষক নিয়োগই একমাত্র বড় ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শমীক আরও বলেন, গুজরাটে FDI শতাংশ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, ফলে সেখানকার কর্মসংস্থান চিত্র অনেক উন্নত।

গুজরাট বনাম বাংলা তুলনা

শমীকের বক্তব্যে উঠে আসে স্পষ্ট বার্তা—যেখানে গুজরাট বিনিয়োগ ও শিল্পের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগামী রাজ্য, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়েছে। তাঁর মতে, এই বাস্তবতা না বদলালে বাংলার যুবকদের কর্মসংস্থানের সমস্যা কখনও সমাধান হবে না।

রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক

ব্রাত্য-শমীক এই কথার লড়াইয়ে রাজ্য রাজনীতি নতুন মোড় নিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা যেমন প্রশ্নের মুখে, তেমনই শমীকের পাল্টা জবাবে উঠে এসেছে বাংলার শিল্প নীতি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্ক। আগামী দিনে এই ইস্যু ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর আরও তীব্র হবে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভিন রাজ্যের প্রার্থীদের ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কটাক্ষ শানান, আর বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা দেন গুজরাটের উন্নয়ন মডেলের উদাহরণ টেনে।

Leave a comment