মধ্যপ্রদেশের গোনা জেলা থেকে একটি চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। রাঘোগড়-এর জেপি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যা নিরাপত্তার দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়, সেখানে চোরেরা অত্যন্ত সুকৌশলে চুরি করেছে। কয়েক লক্ষ টাকার গয়না ও নগদ টাকা লুঠ করার আগে, চোরেরা বাড়িগুলিতে রাখা ঈশ্বরের মূর্তিগুলি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়, যেন তারা তাদের কাজের জন্য লজ্জিত এবং ঈশ্বরের দৃষ্টি থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাইছে। এই অদ্ভুত কাণ্ডটি চুরির ঘটনাকে এক ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে এবং বর্তমানে এটি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চোরেরা কলেজ চত্বরে এইভাবে চুরি করে
ঘটনাটি ঘটেছে ২৪শে জুন রাতে, যখন গরমের ছুটির কারণে কলেজের অধিকাংশ অধ্যাপক বাইরে ছিলেন। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে চোরেরা কলেজের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করে এবং সরাসরি পাঁচ জন অধ্যাপকের বাংলোতে হানা দেয়। চোরেরা একে একে সমস্ত বাংলোর তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে এবং আলমারিতে রাখা গয়না, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, চোরেরা বাড়িগুলিতে রাখা ঈশ্বরের মূর্তিগুলি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল। এই কাজটি এখন আলোচনার বিষয়, কারণ সাধারণত অপরাধীরা এত 'সংবেদনশীলতা' দেখায় না।
চুরির পর চোরেরা ফ্রিজ থেকে কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করে
শুধু তাই নয়, চুরি করার পরে চোরেরা বাংলোর ফ্রিজ থেকে কোল্ড ড্রিঙ্ক বের করে আরাম করে পান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অধ্যাপক কল্পনা রাঠি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চোরেরা শুধু তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেনি, বরং আলমারিতে রাখা সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, অন্য একজন অধ্যাপক জানিয়েছেন যে, কলেজকে উচ্চ নিরাপত্তা অঞ্চল বলা হলেও, চোরদের সাহস এতটাই বেশি ছিল যে তারা চুরি করার সময় কোনো কিছু থেকে বিরত থাকেনি।
পুলিশ তদন্তে নেমেছে
ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এফআইআর দায়ের করেছে। এএসপি মানসিংহ ঠাকুর জানিয়েছেন, ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে তদন্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে অভিযুক্তরা পলাতক এবং তাদের খোঁজা হচ্ছে।
এই ঘটনাটি একটি প্রশ্ন তৈরি করেছে যে, যদি উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন স্থানেও এই ধরনের চুরি হতে পারে, তাহলে সাধারণ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা শক্তিশালী?