‘জোর কা ঝাটকা, ধীরে সে লাগা’— শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহারে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের

‘জোর কা ঝাটকা, ধীরে সে লাগা’— শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহারে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের

TMC on Suvendu Adhikari: প্রায় চার বছর ধরে শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে চলছিল রাজনৈতিক ও আইনি টানাপোড়েন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা যে ‘রক্ষাকবচ’ প্রদান করেছিলেন, তা বাতিল করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ফলত, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তের রাস্তা খুলে গেল। এই রায়ের পরেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রক্ষাকবচ মানে যেন অমরত্বের বর! কিন্তু আইন শেষমেশ নিজের পথেই চলেছে।

চার বছরের রক্ষাকবচ শেষ, নতুন আইনি অধ্যায়ের সূচনা

২০২১ সালে হাইকোর্টের দেওয়া ‘রক্ষাকবচ’-এর ফলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় তদন্ত থমকে গিয়েছিল। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশে সেই সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়। তৃণমূল দাবি করছে— তাদের দীর্ঘদিনের বক্তব্যকেই আদালত স্বীকৃতি দিল।

কুণাল ঘোষের কটাক্ষ: ‘অমরত্বের বর শেষ!’

এই রায়ের পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এটা যেন মহিষাসুরের মতো ব্রহ্মার দেওয়া বর ছিল। আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম, এই রক্ষাকবচ আইনসিদ্ধ নয়। আজ আদালত আমাদের বক্তব্যকেই মান্যতা দিল। বিজেপি এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে, কিন্তু জোর কা ঝাটকা, ধীরে সে লাগা।

আইনি দৃষ্টিতে বড় পরিবর্তন: সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের যুগ্ম তদন্ত

তৃণমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আদালতে ঝুলে ছিল। কিছু খারিজ হয়েছে, কিন্তু চার-পাঁচটি মামলায় সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের যৌথ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, এই নির্দেশ আইনের শাসনকে আরও দৃঢ় করল।

তৃণমূলের আনন্দ বনাম বিজেপির প্রতিরোধ

তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “কেউ অনির্দিষ্টকালের জন্য রক্ষাকবচ পেতে পারে না। আদালতের এই পদক্ষেপ শুভেন্দুর একচেটিয়া আইনি সুবিধা বন্ধ করবে।” তবে বিজেপি দাবি করেছে, আদালতের নির্দেশে ভয়ের কিছু নেই। তাদের বক্তব্য— এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত: শুভেন্দুর পথ কঠিন হল

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নির্দেশ শুভেন্দু অধিকারীর জন্য বড় ধাক্কা। আইনি জটিলতা যেমন বাড়বে, তেমনই তাঁর রাজনৈতিক যাত্রাপথে চাপও তৈরি হবে। রাজ্যের রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তাতে সন্দেহ নেই।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর বহু প্রতীক্ষিত ‘রক্ষাকবচ’ অবশেষে প্রত্যাহার। তৃণমূল শিবিরে আনন্দ, বিজেপির মুখে আত্মবিশ্বাস। এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, এটা মহিষাসুরের অমরত্বের বরের মতো ছিল, কিন্তু শেষমেশ জোর কা ঝাটকা, ধীরে সে লাগা।

Leave a comment