ছট পুজোর আগে বাজারে এক অদ্ভুত উলটপুরাণ! সাধারণত এই সময়ে চাঁপা কলার দাম আকাশছোঁয়া থাকে। কিন্তু এবারে দৃশ্যটা সম্পূর্ণ উল্টো। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কলার দাম পড়ে অর্ধেকে নেমে এসেছে। নদিয়া জেলার মাজদিয়া বাজারে এমন নজিরবিহীন মূল্যপতনে ব্যবসায়ীদের মুখে চিন্তার রেখা, অথচ ক্রেতারা খুশিতে আত্মহারা।

সূর্য উপাসনার আগে বাজারে ভিড় বাড়ছে
আগামী সোমবার সূর্যদেবতার আরাধনায় নদী-ঘাটে ভিড় জমবে ভক্তদের। ছট পুজোর অন্যতম উপকরণ ‘আস্ত কাঁদি চাঁপা কলা’। প্রত্যেক ভক্ত পরিবারের জন্য এটি অপরিহার্য। প্রতিবছর এই সময়ে চাহিদা এতটাই বাড়ে যে ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই মজুত রাখেন প্রচুর পরিমাণে কলা। তবে এবার বাজারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
কলার পাহাড় মাজদিয়া বাজারে, দাম পড়ে গেল ধপাস করে
নদিয়ার মাজদিয়া বাজারে গত দুই দিনে প্রচুর পরিমাণে কলা এসে পৌঁছেছে। আড়ত ভরে গেছে চাঁপা কলার কাঁদিতে। স্থানীয় পাইকারদের দাবি, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও নদিয়ার স্থানীয় চাষিদের কাছ থেকেও বিপুল পরিমাণ আমদানি হয়েছে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় চাহিদার সঙ্গে ভারসাম্য হারিয়েছে বাজার।

৩০০ থেকে ১০০— অর্ধেকের নিচে দাম!
গত বছর এক কাঁদি চাঁপা কলার দাম ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। এবারে সেই দাম নেমে এসেছে ১০০ থেকে ২০০ টাকায়। এক পাইকারি বিক্রেতা জানান, “এইবারআমদানি অনেক বেশি, তাই লোকসানেই বিক্রি করতে হচ্ছে।” অন্যদিকে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, “প্রতিবছর এত দাম দিতে হয় যে পুজোর বাজেট গুলিয়ে যায়, এবার সস্তায় কিনতে পেরে স্বস্তি।”

ভক্তরা খুশি, কিন্তু ব্যবসায়ীদের ঘুম উড়েছে
চাহিদা কম নয়, কিন্তু অতিরিক্ত সরবরাহে বাজারে মন্দাভাব। আড়তদারদের কথায়, “বিক্রি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু লাভের মার্জিন নেই।” অন্যদিকে, পুজোর আগের দিন ভিড় বাড়লে বিক্রিতে খানিক স্বস্তি মিলতে পারে বলে আশা করছেন তাঁরা।

ছট পুজোর আগে এমন কলা-বাজারের উলটপুরাণ বিরল। ভক্তদের মুখে হাসি থাকলেও, ব্যবসায়ীদের মনে সংশয়— যদি দাম না চাঙ্গা হয়, তাহলে লোকসানের বোঝা আরও বাড়বে। সূর্যদেবতার আরাধনা ঘিরে এখন নজর বাজারের দিকেই।













