ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব: প্রেসিডেন্টের সরাসরি প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব: প্রেসিডেন্টের সরাসরি প্রতিক্রিয়া

डोनाल्ड ট্রাম্প তাঁর অসুস্থতার গুজবগুলিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং লেবার ডে উইকএন্ডে ভার্জিনিয়ার গল্ফ কোর্সে সময় কাটিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ফেক নিউজও তিনি খারিজ করেছেন।

Trump Health Update: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ছিল। মানুষ এই ধারণা করতে শুরু করেছিল যে ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে এবং তিনি কোনো গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন। এই ধরনের আলোচনা তখন আরও জোরদার হয় যখন উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভান্সের একটি বিবৃতি ভাইরাল হয়। 

মানুষ ধরে নিয়েছিল যে রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য সত্যিই ভালো নেই এবং সম্ভবত কোনো বড় সমস্যা রয়েছে যা এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। তবে এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এই সমস্ত গুজবের উপর ব্রেক লাগিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং তাঁর অসুস্থতা সম্পর্কিত সমস্ত খবর ফেক নিউজ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কীভাবে এই গুজবগুলি ছড়িয়ে পড়েছিল

সোশ্যাল মিডিয়া আজকের দিনে খবর ছড়ানোর সবচেয়ে দ্রুত মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেক সময় এই সোশ্যাল মিডিয়াই কোনো তথ্য ছাড়াই ভুল খবর বড় আকারে ছড়িয়ে দেয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অসুস্থতা সম্পর্কিত খবরের সাথেও এমনটাই হয়েছে। কয়েক দিন আগে থেকেই টুইটার এবং ফেসবুকে এই আলোচনা শুরু হয়েছিল যে ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। অনেক পোস্টে দাবি করা হয়েছিল যে রাষ্ট্রপতি অসুস্থ এবং এই কারণেই তিনি জনসমক্ষে উপস্থিত হচ্ছেন না।

ট্রাম্পের লাগাতার অনুপস্থিতি এই খবরগুলিকে আরও শক্তিশালী করেছিল। মানুষ বলতে শুরু করেছিল যে সম্ভবত হোয়াইট হাউসও এই বিষয়ে তথ্য দিচ্ছে না এবং পরিস্থিতি গুরুতর। যেহেতু গত কিছু সময়ে ট্রাম্প কোনো প্রেস কনফারেন্স বা জনসমক্ষে উপস্থিত হননি, তাই মানুষের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছিল। কিন্তু সত্য এটাই ছিল যে ট্রাম্প ছুটিতে গিয়েছিলেন এবং তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত ছিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি উত্তর

যখন গুজবগুলি খুব বেড়ে গিয়েছিল, তখন ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই সামনে এসে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে এই সমস্ত খবর মিথ্যা এবং এগুলির কোনো সত্যতা নেই। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি লেবার ডে উইকএন্ডে ভার্জিনিয়ার গল্ফ কোর্সে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি ছুটি কাটিয়েছেন। তাঁর মতে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং যারা এই গুজব ছড়াচ্ছেন যে তিনি অসুস্থ, তারা জনসাধারণকে ভুল তথ্য দিচ্ছেন।

ট্রাম্প তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন যে তিনি এই উইকএন্ডে খুব সক্রিয় ছিলেন। তিনি গল্ফ খেলেছেন, মানুষের সাথে দেখা করেছেন এবং তাঁর দৈনন্দিন জীবন সম্পূর্ণ উপভোগ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন যে এগুলি সবই ফেক নিউজ এবং এর উদ্দেশ্য কেবল অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।

জেডি ভান্সের বিবৃতি এবং ক্রমবর্ধমান জল্পনা

আসলে, এই পুরো গুজবটিকে উস্কে দিতে উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভান্সের বিবৃতির একটি বড় ভূমিকা ছিল। কয়েক দিন আগে একটি আমেরিকান সংবাদপত্রে তাঁর সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। সাক্ষাৎকারের সময় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে যদি রাষ্ট্রপতির কিছু হয় তবে তিনি কমান্ডার-ইন-চীফের দায়িত্ব সামলাবেন কিনা। এই প্রশ্নের উত্তরে জেডি ভান্স বলেছিলেন যে ট্রাম্প এই দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালনে সক্ষম। তবে যদি এমন কোনো পরিস্থিতি আসে, তবে তিনিও এই দায়িত্ব সামলাতে পারবেন।

তাঁর এই বিবৃতিকে মানুষ ভুলভাবে উপস্থাপন করেছিল এবং ধরে নিয়েছিল যে সম্ভবত রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য ভালো নেই, তাই ভান্সকে এমনটা বলতে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ এই বিবৃতিটিকে ভাইরাল করে দিয়েছিল এবং তারপর গুজবের ধারা শুরু হয়েছিল।

হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা এবং ছবিগুলির সত্যতা

যখন বিষয়টি আরও বেড়ে গিয়েছিল, তখন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিটকেও সামনে আসতে হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তিনি স্পষ্ট করেছিলেন যে ট্রাম্পের পায়ে সামান্য ফোলা ছিল এবং হাতে কিছু দাগ ছিল, যা মানুষের সাথে বার বার হাত মেলানোর কারণে পড়েছিল।

আসলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছিল, যেগুলিতে তাঁর পায়ের ফোলা এবং হাতে দাগ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল। এই ছবিগুলি দেখে মানুষ অনুমান করেছিল যে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। কিন্তু হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করেছিল যে এটি কোনো গুরুতর বিষয় নয় এবং এই ধরনের আঘাত সাধারণ।

৭৯ বছর বয়স এবং দায়িত্ব

ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার এ পর্যন্ত সবচেয়ে বয়স্ক রাষ্ট্রপতি। ৭৯ বছর বয়সেও তিনি সক্রিয় রাজনীতি করছেন এবং দেশের দায়িত্ব পালন করছেন। এই কারণেই যখন তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো গুজব ছড়িয়ে পড়ে, তখন মানুষ দ্রুত তাতে বিশ্বাস করে নেয়।

ট্রাম্প তাঁর অসুস্থতার গুজবকে ফেক নিউজ আখ্যা দিয়ে মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে কটাক্ষও করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে আজকাল কোনো তথ্য ছাড়াই খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং মানুষ সেগুলিতে বিশ্বাস করে। এটি জনসাধারণকে ভুল তথ্য দেওয়ার কাজ।

Leave a comment