Trump, Putin Tension: দুর্গাপুজোর আনন্দের মধ্যে বিশ্বের অন্য প্রান্তে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আলাস্কার NORAD-এর রেডারে দুই রুশ সুখোই-৩৫ ও দুটি টিই-৯৫ যুদ্ধবিমানের অস্বাভাবিক ঘোরাফেরা ধরা পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে ট্রাম্পের নির্দেশে ছুটে যায় দু’জোড়া সুপারসনিক এফ-১৬ ফাইটার ফ্যালকন এবং চারটি কেসি-১৩৫ ট্যাঙ্কার। ন্যাটো ও NORAD-এর মতে, পুতিনের এই কার্যক্রম মার্কিন ধৈর্য পরীক্ষা করছে।
আলাস্কার কাছাকাছি রাশিয়ার আগমন
আলাস্কার আকাশপথে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে NORAD তৎপরতা বৃদ্ধি করে। ট্রাম্পের নির্দেশে ছুটে যায় ই-৩ আর্লি ওয়ার্নিং ও কন্ট্রোল বিমান, চারটি এফ-১৬ এবং চারটি কেসি-১৩৫ ট্যাঙ্কার। NORAD-এর দাবি, পুতিনের এই কার্যক্রম মার্কিন সীমান্তের নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে।
ডেনমার্কে রহস্যজনক ড্রোন
একইদিনে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিমানবন্দরেও চারটি বড় আকৃতির রহস্যজনক ড্রোন দেখা যায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে, এগুলো ক্রেমলিনের হতে পারে। ড্রোনগুলির লক্ষ্য হতে পারে এয়ার ট্রাফিক সিস্টেমে বিঘ্ন সৃষ্টি করা। ন্যাটো ও NORAD এটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছে না, বরং এটি পুতিনের ছকের অংশ বলে মনে করছে।
ইউরোপে রাশিয়ার আগ্রাসন
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে পুতিন ইউরোপে ধারাবাহিক আগ্রাসন চালাচ্ছেন। পোল্যান্ডের আকাশপথে ঢুকে পড়া ২৫টি রাশিয়ান ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে, এবং এস্টোনিয়ার সীমান্তে রুশ মিগ যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করেছে। ন্যাটো সতর্ক করে জানিয়েছে, এইভাবে আগ্রাসন চলতে থাকলে সংঘাত অনিবার্য। জার্মানি, ইটালি, রোমানিয়া ও নেদারল্যান্ড পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে।
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
রাষ্ট্রসংঘে সোমবার ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, পুতিন সীমা অতিক্রম করলে ন্যাটো তার বিমান ভেঙে দিতে পারে। তাতেও পুতিন দমেননি। মঙ্গলবার আলাস্কার ADIZ-এ রুশ যুদ্ধবিমানের ঘোরাফেরা ধরা পড়ে, যার তড়িৎ প্রতিক্রিয়ায় NORAD-এর এফ-১৬ এবং ট্যাঙ্কার বিমানগুলো ছুটে যায়।
বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাব
আলাস্কার এবং ডেনমার্কে রাশিয়ার বিমান ও ড্রোন উপস্থিতি আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে। ন্যাটো ও মার্কিন সেনা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এই ঘটনা ইউরোপ ও আমেরিকার নিরাপত্তা নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভবিষ্যতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপকে উস্কে দিতে পারে।
আলাস্কার আকাশপথের কাছে রাশিয়ার দুটি সুখোই-৩৫ যুদ্ধবিমান ধরা পড়ার পর ট্রাম্পের নির্দেশে ছুটে যায় এফ-১৬ ফাইটার ফ্যালকন ও কেসি-১৩৫ ট্যাঙ্কার। একইদিনে ডেনমার্কেও রহস্যজনক ড্রোন দেখা যায়। ন্যাটো ও NORAD সতর্ক অবস্থানে, এবং বিশ্বমঞ্চে পুতিনের কার্যক্রম নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে।