ন্যাটোর উপদেষ্টা এফ ক্রিস্টাল কৌর ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে অবিশ্বাস বাড়বে এবং এই কৌশল ভারতের উপর কার্যকর হবে না।
Trump Tariff: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের আন্তর্জাতিক স্তরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ন্যাটোকে কূটনৈতিক বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া এফ ক্রিস্টাল কৌর এই সিদ্ধান্তকে ট্রাম্পের 'পাওয়ার প্লে' কৌশল বলেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে এই পদক্ষেপ দুটি দেশের মধ্যে অবিশ্বাসের खाई আরও প্রসারিত করছে।
এফ ক্রিস্টাল কৌরের মতে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন এবং বারাক ওবামা ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে বহু বছর ধরে কাজ করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের এই নীতি সেই সমস্ত প্রচেষ্টাকে পিছনে ঠেলে দিতে পারে। তিনি মনে করেন এটি কেবল একটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নয়, বরং কৌশলগত চাপের অংশ।
ভারতের উপর প্রভাব ফেলবে না ট্রাম্পের চাপ
ক্রিস্টাল কৌর বলেন, ট্রাম্প এই কৌশল কেবল ভারতের উপরেই নয়, জাপান এবং অন্যান্য দেশের উপরও তার প্রভাব বিস্তারের জন্য ব্যবহার করছেন। কিন্তু তিনি মনে করেন না যে ভারতের উপর এই কৌশল খুব বেশি প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, ভারত তার বৈশ্বিক অবস্থান শক্তিশালী করেছে এবং একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে কোনো প্রকার চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।
৫০% শুল্কের প্রভাব শুধু বাণিজ্যে নয়, সম্পর্কেও
এফ ক্রিস্টাল কৌর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে কেবল অর্থনৈতিক বিষয় বলেননি। তিনি বলেন, এর ফলে ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্কের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি পিটিআই-এর সাথে কথা বলার সময় বলেন, "এই সিদ্ধান্তে আমি খুব হতাশ। এটি দুটি দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।"
তিনি বলেন, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ইতিমধ্যেই একটি नाजुक दौर-এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। পরমাণু চুক্তির পর থেকে এই সম্পর্কগুলোতে যে ইতিবাচকতা এসেছিল, তা ধীরে ধীরে অবিশ্বাসে পরিবর্তিত হতে পারে।
ট্রাম্পের 'বাহু মোড়ানো' নীতির সমালোচনা
এফ ক্রিস্টাল কৌর ট্রাম্পের নীতিকে 'বাহু মোড়ানো' কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি ট্রাম্পের নিজের কথা মানানোর একটি तरीका, কিন্তু এই तरीका ভারতের মতো দেশের উপর কাজ করবে না। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন যে ট্রাম্প জাপান-এর মতো আমেরিকার পুরোনো কৌশলগত অংশীদারদের উপরেও চাপ সৃষ্টি করছেন।
আমেরিকার ভেতর থেকেও উঠেছে বিরোধের স্বর
ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা কেবল আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই নয়, বরং আমেরিকার ভেতর থেকেও হচ্ছে। রাশিয়ায় আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল প্রশ্ন তুলেছেন যে যখন চীন রাশিয়ার থেকে অনেক বেশি তেল কেনে, তখন ভারতকে টার্গেট করা হচ্ছে কেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, যদি রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য করা সমস্যা হয়, তাহলে চীনের উপরও একই কঠোরতা কেন দেখানো হচ্ছে না।
ডলারের দুর্বলতা এবং মার্কিন ভোক্তার উপর প্রভাব
ইউরোপ্যাকের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিটার শিফও ট্রাম্পের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ভারত থেকে আমদানির উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা আমেরিকার জন্য আত্মঘাতী পদক্ষেপ হতে পারে। ডলারের দামে गिरावट এবং घरेलू ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া মার্কিন অর্থনীতির জন্য खतरे की घंटी। তিনি আরও বলেন, এতে ব্রিকস দেশগুলো উপকৃত হতে পারে এবং আমেরিকার অবস্থান দুর্বল হতে পারে।