৬ বছর পর মুখোমুখি ট্রাম্প-জিনপিং: বরফ গলছে আমেরিকা-চিন সম্পর্কের রাজনীতিতে

৬ বছর পর মুখোমুখি ট্রাম্প-জিনপিং: বরফ গলছে আমেরিকা-চিন সম্পর্কের রাজনীতিতে

US-China Summit 2025: দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (APEC) সম্মেলনের ফাঁকে ছয় বছর পর মুখোমুখি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বুধবারের এই সাক্ষাতে দুই নেতা একে অপরের প্রশংসা করে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার বার্তা দেন। ট্রাম্প বলেন, “আমাদের অসাধারণ সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হলো।

দীর্ঘ বিরতির পর উষ্ণ সাক্ষাৎ

ছয় বছর পর এমন মুখোমুখি বৈঠকে দেখা গেল এক অন্যরকম সৌহার্দ্য। ট্রাম্প শি জিনপিংকে ‘গ্রেট লিডার’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “দীর্ঘ সময় পরে আমার বন্ধু, চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে খুব ভাল লাগল।” তিনি জানান, দুই দেশের সম্পর্ককে নতুনভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে তারা আশাবাদী।

জিনপিংয়ের প্রশংসা ও বার্তা

চিনা প্রেসিডেন্টও একই সুরে সাড়া দিয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, বহু বছর পর দেখা হলো। খুব ভাল লাগছে।” তিনি দুই দেশের পারস্পরিক মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে মতবিরোধ স্বাভাবিক, কিন্তু সহযোগিতাই মূল চাবিকাঠি।

ফোন ও চিঠির মাধ্যমে চলেছিল যোগাযোগ

এই সাক্ষাতের আগে দুই নেতার মধ্যে তিনবার ফোনালাপ ও একাধিক চিঠি বিনিময় হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শি জিনপিং জানান, এই যোগাযোগই দুই দেশের সম্পর্ককে স্থিতিশীল রাখার বড় কারণ। তিনি বলেন, “দুই দেশের উদ্যোগেই আমেরিকা-চিন সম্পর্ক এখনও ভারসাম্যে রয়েছে।

বাণিজ্যনীতি ও শুল্ক ইস্যুতে আশার আলো

সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন চিনা আমদানিতে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিল। তবে চিন যদি বিরল মৃত্তিকার রফতানিতে ছাড় দেয়, তাহলে আমেরিকাও শুল্ক প্রত্যাহার করতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। এই প্রেক্ষিতেই এই বৈঠক দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

বুসানে বৈঠকের গুরুত্ব

এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে, APEC সম্মেলনের ফাঁকে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দুই নেতার এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সাক্ষাৎ শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নয়, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।

ছয় বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে মুখোমুখি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। উভয় নেতা একে অপরকে ‘বন্ধু’ ও ‘মহান নেতা’ বলে অভিহিত করে ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশার বার্তা দেন। এই সাক্ষাৎ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন দিগন্ত খুলতে পারে।

Leave a comment