রেলওয়ে নভেম্বর মাস থেকে বৈষ্ণো দেবী, জম্মু তবী, বান্দ্রা, কোটা এবং যোগনগরী ঋষিকেশ রুটে বন্ধ থাকা ট্রেনগুলির পরিষেবা পুনরায় চালু করেছে। এই পদক্ষেপ তীর্থযাত্রী এবং সাধারণ যাত্রীদের জন্য ভ্রমণকে নিরাপদ, সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে।
জম্মু সুসংবাদ: রেল যাত্রীদের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর। রেলওয়ে নভেম্বরের শুরু থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুটে বন্ধ থাকা ট্রেনগুলি পুনরায় চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা, জম্মু তবী, বান্দ্রা, কোটা এবং যোগনগরী ঋষিকেশকে সংযুক্তকারী প্রধান এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি অন্তর্ভুক্ত। এই সিদ্ধান্ত তীর্থযাত্রী, পর্যটক এবং সাধারণ যাত্রীদের জন্য ভ্রমণকে সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী করে তুলবে।
রেলওয়ে তথ্য জানিয়েছে
জম্মু রেল ডিভিশনের সিনিয়র কমার্শিয়াল রেলওয়ে ম্যানেজার উচিত सिंघল জানিয়েছেন যে, ট্র্যাকের প্রযুক্তিগত পরীক্ষা এবং নিরাপত্তা রিপোর্ট সম্পূর্ণ সন্তোষজনক হলেই ট্রেনগুলি চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন যে, ট্রেনগুলির পরিষেবা পর্যায়ক্রমে শুরু করা হচ্ছে। এবার ট্রেনগুলি ছয়টি পর্যায়ে চলবে এবং প্রথম পাঁচটি পর্যায়ে অনেক ট্রেনের সফল চলাচল সম্পন্ন হয়েছে।
ট্রেন চলাচলের তারিখ
যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে রেলওয়ে ট্রেনের নম্বর এবং চলাচলের তারিখ ঘোষণা করেছে।
- ট্রেন নম্বর 14609-10 (শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা - যোগনগরী ঋষিকেশ) — 1 নভেম্বর থেকে চলাচল।
- ট্রেন নম্বর 19803-34 (শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা - কোটা) — 2 নভেম্বর থেকে চলাচল।
- ট্রেন নম্বর 19027-28 (জম্মু তবী - বান্দ্রা টার্মিনাস) — 3 নভেম্বর থেকে চলাচল।
- ট্রেন নম্বর 15655-56 (শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা - কামাখ্যা) — 5 নভেম্বর থেকে চলাচল।
তীর্থযাত্রীরা স্বস্তি পাবেন
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে বৈষ্ণো দেবী, ঋষিকেশ এবং কামাখ্যাগামী তীর্থযাত্রীরা বিশেষ সুবিধা পাবেন। দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে তীর্থযাত্রীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বৃষ্টি এবং জল জমার কারণে অনেক ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। রেলওয়ের এই পদক্ষেপের ফলে এখন যাত্রা আরও সহজ এবং নিরাপদ হবে।
জম্মু ডিভিশনে ট্র্যাকের নিরাপত্তা এবং ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার পরেই ট্রেনগুলির পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন যে, আগামী দিনে অন্যান্য ট্রেনের চলাচলও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে যে, তারা ভ্রমণের আগে উত্তর রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা হেল্পলাইন নম্বর থেকে তাদের ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে তথ্য জেনে নিন। এই পদক্ষেপ যাত্রীদের যেকোনো অসুবিধা এড়াতে সাহায্য করবে।
রেলওয়ের যাত্রী-কেন্দ্রিক প্রচেষ্টা
রেলওয়ের উদ্দেশ্য হল তীর্থযাত্রী এবং সাধারণ জনগণকে সুবিধা প্রদান করা। বন্ধ থাকা ট্রেনগুলির পরিচালনার ফলে শুধুমাত্র তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতই সহজ হবে না, বরং পর্যটন ও বাণিজ্যিক কার্যকলাপও লাভবান হবে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে, সমস্ত ট্রেন প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তা মান অনুযায়ী চলবে, যাতে যাত্রীরা একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
জম্মু রেল ডিভিশনের প্রচেষ্টা
উচিত सिंघল বলেছেন যে, ডিভিশনে ধীরে ধীরে ট্রেনের গতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তিনি জানান যে, ট্র্যাকের অবস্থা এবং আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে ট্রেনগুলি চলছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাত্রীরা নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।
তীর্থযাত্রার জন্য সুবিধা
রেলওয়ে এটিও নিশ্চিত করেছে যে বৈষ্ণো দেবী যাত্রার সময় যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলি উপলব্ধ থাকবে। সমস্ত স্টেশনে যাত্রী পরিষেবা উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ট্রেনে পরিচ্ছন্নতা, ক্যাটারিং এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের জন্য পরামর্শ
রেলওয়ে যাত্রীদের অনুরোধ করেছে যে, তারা ভ্রমণের আগে তাদের টিকিটের অবস্থা এবং ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে তথ্য অবশ্যই জেনে নিন। ট্রেনে ওঠার আগে সময়মতো স্টেশনে পৌঁছান এবং রেলওয়ে কর্তৃক জারি করা সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলুন। এর ফলে যেকোনো অসুবিধা বা ভ্রমণে বাধা এড়ানো সম্ভব হবে।
 
                                                                        
                                                                             
                                                












