উত্তর প্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত রাজ বিভাগের বিতর্কিত আদেশ বাতিল করা হয়েছে। এই আদেশে বলা হয়েছিল যে কেবল স্থানীয় বাসিন্দারাই গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন, যা এখন সমস্ত ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
লখনউ: উত্তর প্রদেশে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে পঞ্চায়েত রাজ বিভাগের একটি বিতর্কিত আদেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ওই আদেশ অনুসারে, গ্রাম প্রধানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কেবল সেই ব্যক্তিই করতে পারতেন যিনি সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। তবে, প্রশাসন এবং সামাজিক প্রতিক্রিয়ার চাপের মুখে এই আদেশ বাতিল করা হয়েছে। এখন যেকোনো ব্যক্তি, তিনি পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হন বা না হন, প্রধানের বিরুদ্ধে সরকার এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করার অধিকার পাবেন।
এই পদক্ষেপটি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় প্রধান হলেন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির সভাপতি ওম প্রকাশ রাজভর।
পঞ্চায়েত রাজ বিভাগ বিতর্কিত আদেশ বাতিল করেছে
৩১ জুলাই এস এন সিং কর্তৃক জারি করা আদেশে বলা হয়েছিল যে গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে কেবল স্থানীয় বাসিন্দারাই হলফনামা দিয়ে অভিযোগ করতে পারবেন। এই আদেশটি পুরো বিভাগ এবং প্রশাসনিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়ে।
আদেশ জারির পর অনেক জেলার জেলাশাসকদের এটি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অথচ, আদেশটি উত্তর প্রদেশ পঞ্চায়েত রাজ বিভাগ তদন্ত বিধিমালা ১৯৯৭-এর বিধানের পরিপন্থী ছিল। এর কারণে অভিযোগকারী প্রবীণ কুমার মৌর্য এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনার পর আদেশটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অধিকার
আদেশ বাতিলের পর বিভাগ স্পষ্ট করেছে যে এখন যেকোনো ব্যক্তির গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। এর ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্বচ্ছতা এবং অভিযোগ প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা আসবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
অতীতেও এই ধরনের আদেশের বিরুদ্ধে বিতর্ক ও সমালোচনা উঠেছে। যাদব এবং মুসলমানদের অবৈধ দখল সংক্রান্ত তদন্তের নির্দেশের উপরেও প্রশ্ন উঠেছে, যা স্পষ্ট করে যে পঞ্চায়েত স্তরের সিদ্ধান্তগুলির প্রভাব ব্যাপক হতে পারে।