৩৩ বছর পর আবারও পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা। উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স বলেছেন যে এটি জাতীয় নিরাপত্তা এবং অস্ত্রের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য। রাশিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান অস্ত্রের দিকে নজর রাখা হবে।
US News: আমেরিকা আরও একবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স বলেছেন যে এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা (National Security) এর জন্য প্রয়োজনীয়। তাঁর মতে, আমেরিকাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের হাতে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রগুলি সঠিকভাবে কাজ করছে এবং কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত ত্রুটি নেই।
জেডি ভ্যান্স তথ্য দিলেন
হোয়াইট হাউসে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স বলেছেন যে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করা প্রয়োজন যাতে নিশ্চিত করা যায় যে মার্কিন অস্ত্রগুলি কার্যকর। ভ্যান্স বলেন, "এটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যে নিশ্চিত করা হোক যে আমাদের কাছে যে পারমাণবিক অস্ত্রগুলি আছে, সেগুলি আসলে সঠিকভাবে কাজ করছে। এটি পরীক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশ।"
ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার মার্কিন সেনাকে ৩৩ বছর পর পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য ছিল যে এই পদক্ষেপ রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে সমান তালে (Parity) থাকার জন্য অপরিহার্য। ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন যে অন্যান্য দেশের পরীক্ষা কর্মসূচির কারণে তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ ওয়ার-কে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, "এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু হবে। আমি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ (Nuclear Disarmament) দেখতে চাই কারণ আমাদের কাছে প্রচুর অস্ত্র আছে। রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন তৃতীয় স্থানে রয়েছে। চীন চার বা পাঁচ বছরের মধ্যে সমতা অর্জন করবে।"
রাশিয়া ও চীনের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলেছে যে এটি নতুন অনিশ্চয়তা (Uncertainty) এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে। একজন জ্যেষ্ঠ রুশ সাংসদ সতর্ক করে বলেছেন যে এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমেরিকাকে পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ মেনে চলতে এবং বৈশ্বিক কৌশলগত ভারসাম্য (Strategic Stability) বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। চীনের বক্তব্য হল, এমন পদক্ষেপ বিশ্বে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং নিরাপত্তাকে বিপদে ফেলতে পারে।
 
                                                                        
                                                                             
                                                












