দক্ষিণ কোরিয়ায় শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের উপর ফেন্টানিল শুল্ক কমানোর ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্ত আমেরিকা-চীন বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায় নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের উপর ফেন্টানিল শুল্ক কমানোর ঘোষণা করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে আমেরিকা-চীন সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে এবং বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকায় ফেন্টানিলের সরবরাহ ও দামে পরিবর্তন আসতে পারে, অন্যদিকে, ভারত সহ অন্যান্য দেশেও এর প্রভাব পড়বে।
ট্রাম্প এবং শি জিনপিংয়ের এই বৈঠক এশিয়া-প্রশান্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতা (APEC) শীর্ষ সম্মেলন থেকে আলাদাভাবে বুসানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল এবং কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প এই বৈঠককে অত্যন্ত সফল বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে চীন-আমেরিকার মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্য বিরোধ অনেকটাই নিষ্পত্তি হয়েছে।
রেয়ার আর্থ খনিজ সরবরাহ চুক্তি
বৈঠকে প্রধান বিষয়গুলির মধ্যে একটি ছিল রেয়ার আর্থ খনিজ সরবরাহের চুক্তি। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে আমেরিকা এবং চীন এই সরবরাহ চুক্তিটি এক বছরের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেছেন যে এই খনিজগুলি বৈশ্বিক বাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এর নিষ্পত্তি হয়েছে। ট্রাম্প আরও স্পষ্ট করেছেন যে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের বিরোধ এড়াতে এই চুক্তিটি প্রতি বছর পুনরায় আলোচনা করা হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধে যৌথ প্রচেষ্টা
বৈঠকে উভয় নেতা ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে ইউক্রেনের সমস্যা সমাধানে উভয় দেশ একসাথে কাজ করবে। তিনি জানিয়েছেন যে বৈঠকে উভয় নেতা যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে শি জিনপিং আমেরিকাকে সাহায্য করবেন এবং উভয় দেশ একসাথে নিশ্চিত করবে যে সংঘাত যেন ন্যূনতম প্রভাবিত অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে।
ভারতের উপর কী প্রভাব পড়বে
ফেন্টানিল এবং অন্যান্য ঔষধি পদার্থের উপর চীন কর্তৃক আরোপিত শুল্ক কমানোর ফলে ভারত সহ অনেক দেশ স্বস্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতে আমেরিকান কোম্পানি এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কের জন্য এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। এর ফলে কেবল দামে স্থিতিশীলতা আসবে না বরং বিকল্প সরবরাহ চ্যানেলগুলির নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত পরোক্ষভাবে এই নীতি থেকে উপকৃত হবে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও ঔষধ খাতে।
ট্রাম্প ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে চীন সফরের ঘোষণা করেছেন
ট্রাম্প সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আরও বলেছেন যে শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকটি অত্যন্ত ইতিবাচক ছিল। তিনি ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে চীন সফরের পরিকল্পনার ঘোষণা করেছেন। এই সফর থেকে উভয় দেশের মধ্যে কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।













