উত্তর প্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৬: শহর সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে জটিলতা

উত্তর প্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৬: শহর সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে জটিলতা

উত্তর প্রদেশে ২০২৬ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শহর সীমানা বৃদ্ধির আলোচনা, ৯৭টি নতুন নগর সংস্থা এবং ১০৭টি সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব pending, সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাকি।

UP Panchayat Election: উত্তর প্রদেশে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে। রাজ্য সরকারের সামনে একটি বড় প্রশ্ন—নির্বাচনের আগে কি নগর সংস্থাগুলির সীমানা বাড়ানো হবে নাকি? এই সিদ্ধান্ত শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়াকেই প্রভাবিত করবে না, ভোটার তালিকা সংশোধন এবং এলাকার সীমানা পুনর্বিন্যাসের কর্মসূচিকেও সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।

২১ মে-র সরকারি নির্দেশিকা ও তার প্রেক্ষাপট

পঞ্চায়েতরাজ বিভাগ ২১ মে, ২০২৫ তারিখে একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানিয়েছিল যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ધ્યાનમાં রেখে নগর সংস্থা তৈরি এবং তাদের সীমানা বৃদ্ধির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গ্রাম পঞ্চায়েত, অঞ্চল পঞ্চায়েত ও জেলা পঞ্চায়েতের ওয়ার্ডগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া যেন কোনও প্রশাসনিক বাধা ছাড়াই সম্পন্ন করা যায়।

এখন কেন বদলাতে পারে রণনীতি?

তবে, এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নগর উন্নয়ন বিভাগ পঞ্চায়েতরাজ বিভাগকে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে। কারণ স্পষ্ট—রাজ্যে ৯৭টি নতুন নগর সংস্থা গঠন এবং ১০৭টি নগর সংস্থার সীমানা বৃদ্ধির প্রস্তাব আগে থেকেই pending রয়েছে। যদি এই প্রস্তাবগুলি সময় মতো অনুমোদন না পায়, তাহলে নগর উন্নয়নের পরিকল্পনাগুলির ওপর প্রভাব পড়তে পারে।

মুখ্য সচিব কী বলেছেন?

মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং সম্প্রতি এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, 'நகர অঞ্চলের সম্প্রসারণের প্রস্তাবগুলি বিবেচনাধীন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পর্কিত সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে।' এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে সরকার বর্তমানে কোনো তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্ত প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে চায়।

সীমানা পুনর্বিন্যাস ও ভোটার তালিকায় কী প্রভাব পড়বে?

রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১১ জুলাই ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনার বিস্তারিত কর্মসূচি প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি, ১৮ জুলাই থেকে পঞ্চায়েত ওয়ার্ডগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু হয়েছে। যদি সরকার শহর সীমানা বৃদ্ধির নির্দেশ জারি করে, তাহলে এই পুরো প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে শুধু নির্বাচনী প্রস্তুতিই প্রভাবিত হবে না, গ্রামের প্রশাসনিক কাঠামোতেও প্রভাব পড়বে।

রাজনৈতিক দৃষ্টিতে সংবেদনশীল मामला

এই বিষয়টি শুধু প্রশাসনিক নয়, রাজনৈতিকভাবেও অত্যন্ত সংবেদনশীল। পঞ্চায়েত নির্বাচন গ্রামীণ রাজনীতির ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতকে নগর সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে সেখানকার ভোটার সংখ্যা, সংরক্ষণের নিয়ম এবং প্রার্থীদের সমীকরণ बदल যাবে। এটি স্থানীয় নেতাদের রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রভাবিত করতে পারে।

কী হতে পারে আগামী পথ?

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারকে এই বিষয়ে দুটি বিকল্প বিবেচনা করতে হবে:

১. পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই নগর সংস্থা গঠন এবং সীমানা বৃদ্ধি করা হোক।

  • এতে নগর উন্নয়নের পরিকল্পনাগুলিতে গতি আসবে।
  • কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়সূচির ওপর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে।

২. নির্বাচনের পরে নগর সংস্থাগুলির সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।

  • এতে বর্তমান সীমানা পুনর্বিন্যাস ও ভোটার তালিকা প্রক্রিয়া बिना বাধায় সম্পন্ন হবে।
  • তবে pending প্রস্তাবগুলির কারণে शहरी উন্নয়নের কাজ धीमे হতে পারে।

সাধারণ মানুষের জন্য এর অর্থ কী?

গ্রাম এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য এই সিদ্ধান্ত তাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে যুক্ত। নগর সংস্থা গঠিত হলে এলাকায়

  • রাস্তা, নর্দমা, জল সরবরাহের মতো সুবিধাগুলোর উন্নতি হতে পারে।
  • কিন্তু একই সঙ্গে করের বোঝাও বাড়তে পারে।
  • পঞ্চায়েত স্তরের পরিকল্পনার পরিবর্তে নগর পরিকল্পনা लागू করা হবে।

Leave a comment