সকালের রোদ, দুপুরে ঝমঝম বৃষ্টি, আর বিকেলে প্যাঁচানো কাদা—এই আবহাওয়ার হেরফেরের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব হওয়া স্বাভাবিক। ফুসফুস বিশেষজ্ঞ কুলদীপ কুমার গ্রোভার জানান, ‘ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বাতাসের মানও পরিবর্তিত হয়। ফলে শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়।’
তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন: শ্বাসনালির উপর প্রভাব
ঠান্ডা থেকে গরম বা গরম থেকে ঠান্ডায় হঠাৎ পরিবর্তন হলে শ্বাসনালী সংকুচিত হয়। বাতাসের সঠিক চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। যারা COPD বা অ্যাজ়মায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে।

অ্যালার্জেন: বাতাসে ছত্রাক ও পোলেনের প্রভাব
শরৎ ও বসন্তের আবহাওয়ায় পোলেন, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বৃদ্ধি বেশি থাকে। বৃষ্টি বা স্যাঁতসেতে আবহাওয়াতেও ছত্রাকের বংশবৃদ্ধি ঘটে। শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে এগুলো শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে।

শুষ্ক বাতাস: ফুসফুসে অস্বস্তি সৃষ্টি
দীর্ঘ সময় বন্ধ ঘরে বা এসি চলাচলকারী পরিবেশে থাকা শ্বাসনালিকে শুষ্ক করে তোলে। বিশেষ করে অ্যাজ়মার রোগীদের জন্য এটি গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। শুষ্ক বাতাস ফুসফুসে সংক্রমণ বৃদ্ধির পথও প্রশস্ত করে।

বায়ুদূষণ: শ্বাসকষ্ট বাড়ায় কিভাবে
আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনে বাতাসের গুণগত মানও খারাপ হয়। ধোঁয়া, কুয়াশা এবং ভাসমান ধূলিকণা সহজে নড়াচড়া করতে পারে না। এতে শ্বাসনালিতে সমস্যা বাড়ে এবং শ্বাসকষ্ট আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: সুস্থ থাকার পরামর্শ
যাঁদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। বাইরে বেরোলে মুখে মাস্ক পরা জরুরি। রাতে ঘুমোতে স্কার্ফ ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার থাকলে শ্বাসনালিকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব। নিয়মিত জল খাওয়া ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে সাহায্য করে।













